লকডাউনের তৃতীয় দফায় দেশে শুরু হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরানোর প্রক্রিয়া। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য রাজ্যে ট্রেন চলাচলে অনুমতি দিচ্ছেন না মমতা, শনিবার এই মর্মে মমতাকে চিঠি দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এমনটাই খবর। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠির সমর্থনে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানোর বিষয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকেও একহাত নেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
Home Minister Amit Shah writes to West Bengal : Migrants from WB are eager to reach home but we are not getting expected support from WB.
West Bengal is not allowing trains.
This is injustice with WB migrant labourers. This will create further hardship for them. @IndianExpress— Deeptiman Tiwary (@DeeptimanTY) May 9, 2020
এদিনের চিঠিতে শাহ বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকেরা চাইছে তাঁদের রাজ্যে ফিরতে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে আমরা তেমন কোনও সাহায্য পাচ্ছি না। এমনকী কোনও ট্রেন ছাড়ারও অনুমতি দেওয়া হয়নি এখনও। যারা পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে। যা এই মুহুর্তে তাঁদেরকে আরও কষ্টের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে।" প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের তরফে দেওয়া 'শ্রমিক স্পেশাল' ট্রেনের কথা উল্লেখ করে শাহ চিঠিতে বলেন যে, কেন্দ্র দুই লক্ষেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিকদের তাঁদের বাড়িতে পৌঁছতে সহায়তা করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সেই সহযোগীতা করছে না, এমনটাই চিঠিতে জানান হয়েছে।
অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষ বলেন, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চিঠি পাঠান হয়েছে। এখন আসলে এরকম পরিস্থিতি যে জল মাথার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। এর আগে স্বরাষ্ট্র সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিবেরা চিঠি দিয়েছেন, কিন্তু কোনও গুরত্ব দেওয়া হয়নি, উত্তরও দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন রাজ্য সরকার চাইছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে। সেই মতো কেন্দ্রের কাছে ট্রেন চালানোর কথাও বলা হয়েছে। কেন্দ্র সরকার বলেছে, ট্রেন চালানো হবে। কিন্তু খরচের ৮৫ শতাংশ কেন্দ্র দেবে বাকিটা রাজ্যসরকারকে দিতে হবে। শ্রমিকদের পয়সা দিতে হবে তা কোথাও বলা হয়নি, নেওয়াও হয়নি। কোথাও টিকিট বিক্রি হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে সরকার কোনও সহযোগীতা করেনি। দুটি ট্রেন এসেছে কিন্তু কোনও শ্রমিক আসেনি। বিশেষ সম্প্রদায়ের তীর্থযাত্রীদের নিয়ে আসা হয়েছে।"
রাজ্যে পদ্ম শিবিরের প্রধান এও বলেন, "অন্যান্য রাজ্যে অনেক ট্রেন আসছে তাঁদের শ্রমিকদের নিয়ে। বিহারের শ্রমিকরা পর্যন্ত তাঁদের রাজ্যে ফিরছে কিন্তু বাংলার শ্রমিকরা যখন দেখছেন যে তাঁদের ফেরানো হচ্ছে না, স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মন খারাপ হচ্ছে। রাজ্যের নোডাল অফিসাররা ফোন ও ধরেন না, যোগাযোগও করেন না। শ্রমিকেরা হতাশায় রয়েছেন। কেন্দ্র ট্রেন চালাচ্ছে অথচ সেই সুবিধা আমাদের রাজ্য নিচ্ছে না। বলেই দেওয়া হয়েছে কাউকে আনানোর দরকার নেই। এতদিন আমরা যা বলছিলাম সেটাই সত্যি হল যে রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য চিন্তাভাবনা করছে না। সেই কারণ জানতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে পাঠান হয়েছে এই চিঠি।"
বাংলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবারই মমতা সরকারের সমালোচনা করেন রাজ্যে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, "ডাক্তাররা পিপিই কিট পাচ্ছেন না, পুলিশদের আক্রমণ করা হচ্ছে। মমতা সরকার যেন একটা বিপর্যয়।"
- Doctors crying for PPE
- Patients lying with dead bodies
- Migrant labour not allowed to leave state
- Bengalis not allowed to come back home
- Hospitals not taking patients
- Police attacked@MamataOfficial government is absolute disaster.#BhoyPeyecheMamata pic.twitter.com/Nj6T18UxIv— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) May 9, 2020
এদিকে বুধবারই কনটেন্টমেন্ট জোন নিয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা জানায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কলকাতা ও হাওড়ার "নির্দিষ্ট অঞ্চলের" কেন লকডাউন নিষেধাজ্ঞাগুলি লঙ্ঘন করা হচ্ছে এবং পুলিশ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর আক্রমণ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে, এমনটাই খবর।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন