রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার জীবনে অগণিত উপহার পেয়েছিলেন, কিন্তু তার মূল্যবান সম্পদগুলির মধ্যেও জায়গা করে নিয়েছিল মহত্মাগান্ধীর দেওয়া একটি খাদি রুমাল। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বিয়ে উপলক্ষে তাঁকে উপহার দেওয়া একটি খাদি রুমাল জীবনের শেষদিন পর্যন্ত যত্ন করে রাখেন। আর সেই রুমাল তিনি দেখিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদীকে। সেকথা মোদী টুইটেও উল্লেখ করেন। মহাত্মা গান্ধী, যিনি ভারতকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে মুক্তির অন্যতম কাণ্ডারি। তাঁর দেওয়া সেই উপহারই পরম যত্নে রেখে দিয়েছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ।
১৯৪৭ সালের নভেম্বরে ফিলিপ মাউন্টব্যাটেনকে বিয়ে উপলক্ষে গান্ধী এলিজাবেথকে রুমালটি উপহার দিয়েছিলেন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য পতনের মাত্র কয়েক মাস পরে এই উপহার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আগলে রাখেন তিনি।‘বিয়েতে গান্ধীজির উপহার দেওয়া রুমাল দেখিয়েছিলেন’! শোকবার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবার টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লিখলেন, ‘২০১৫ এবং ২০১৮ সালে যখন ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য সফরে গিয়েছিলাম, তখন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে স্মরণীয় সাক্ষাৎ হয়েছিল। আমি কখনও তাঁর উষ্ণতা এবং উদরতার কথা ভুলব না। একটি সাক্ষাতে তিনি বিয়েতে মহাত্মা গান্ধীর দেওয়া রুমাল আমায় দেখিয়েছিলেন। সারা জীবন সেই কথা মনে রাখব।’
গতকালই প্রয়াত হন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আগেই বাকিংহাম প্যালেসের তরফে এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রানি ছিলেন স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্যালেসে। চিকিৎসকদের পরামর্শে বৃহস্পতিবার সেখানেই চলে যান প্রিন্স চার্লস, প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা। পরে রাজবাড়ির তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়, ‘রানি বিকেলে মারা গিয়েছেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শোকবার্তা আসতে শুরু করেছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ।
আরও পড়ুন: < নিজামের দেওয়া ‘ডায়মন্ড নেকলেস’ দারুণ পছন্দের ছিল রানির, নিজেই জানান সেকথা! >
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তিনবার ভারত সফরে আসেন । তিনি ১৯৬১ , ১৯৮৩ এবং ১৯৯৭ সালে ভারত সফর করেন । তার ভারতীয় সফরের অংশ হিসেবে, রানী এলিজাবেথ দিল্লি, আগ্রা, চেন্নাই এবং মুম্বাই শহর পরিদর্শন করেন। ভালোবাসার প্রতীক হিসাবে তাজমহলের অপার সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করেন। জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার জন্য তিনি দুঃখও প্রকাশ করেছেন।