শিখদের পবিত্র ধর্মস্থল স্বর্ণমন্দিরে ঢুকে ধর্মগ্রন্থ অবমাননার জেরে শনিবার রাতে পিটিয়ে মারা হয় এক যুবককে। গণপিটুনিতে নিহত যুবকের বিরুদ্ধে এবার খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করল পুলিশ। শনিবারের এই ঘটনায় পাঞ্জাবজুড়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ভোটের মুখে রাজ্যে ফের ধর্মীয় অবমাননা নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ শিখরা।
জানা গিয়েছে, শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির সদস্য সাচা সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে নিহত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সাচা সিং জানিয়েছেন, আচমকা মন্দিরের ভিতরে রেলিং টপকে ঢুকে গুরু গ্রন্থ সাহিবের সামনে রাখা একটি তলোয়ার তুলে নেয় ওই যুবক। পবিত্র সেই তলোয়ার ধরার আগে সে গুরু গ্রন্থ সাহিব ঢাকা দেওয়ার রুমালে পা লাগায়।
গোটা ঘটনায় স্বর্ণমন্দিরের ভিতরের ক্য়ামেরার মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার হয়। সিসিটিভিতেই রেকর্ড হয় ভিডিও। বছর কুড়ির ওই যুবকের বিরুদ্ধে ২৯৫এ এবং ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার জেরে আগেই গণপিটুনিতে খুন করা হয় তাঁকে।
পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া রবিবার অমৃতসরে পৌঁছন। তিনি জানিয়েছে, নিহত যুবকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তিনি বলেছেন, "শ্রী হরমন্দির সাহিব (স্বর্ণমন্দির) শনিবার সকাল ১১.৪০ মিনিট নাগাদ ঢোকে অভিযুক্ত যুবক। এরপর সন্ধে ৫.৫০ মিনিট নাগাদ ধর্মীয় অবমাননার কাণ্ড ঘটায় সে।"
আরও পড়ুন ধর্মগ্রন্থ অবমাননার অভিযোগ, স্বর্ণমন্দির চত্বরে ‘পিটিয়ে মারা’ হল যুবককে
রানধাওয়া বলেছেন, "অভিযুক্ত স্বর্ণমন্দিরে দিনভর অকাল তখত সাহিবের বাইরে শুয়ে ছিল। এই ঘটনার পিছনে নিশ্চয় কোনও রহস্য আছে। যুবকের মৃত্যুর জন্য অনেক রহস্য গোপন থেকে গেল, কিন্তু আমরা তথ্য জোগাড় করে রহস্য উদ্ঘাটন করবই। এখনও পর্যন্ত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। অমৃতসরে ওঁর গতিবিধির খোঁজ চলছে। অভিযুক্ত একাই স্বর্ণমন্দিরে এসেছিল।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন