রাখে হরি মারে কে! ট্রেনের কমোডে নিশ্চিত মৃত্যু থেকে রক্ষা পেল সদ্যোজাত

শিশুর শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে অমৃতসর হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, শিশুটির গায়ে কোনও পোশাক ছিল না। ঠকঠক করে কাঁপছিল সে। তবে ওই সদ্যোজাত বিপন্মুক্ত।

শিশুর শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে অমৃতসর হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, শিশুটির গায়ে কোনও পোশাক ছিল না। ঠকঠক করে কাঁপছিল সে। তবে ওই সদ্যোজাত বিপন্মুক্ত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
baby, শিশু

সাফাইয়ের সময় জীবন্ত অবস্থায় ওই শিশুটিকে উদ্ধার করেন এক সাফাইকর্মী। প্রতীকী ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

একেই বলে মিরাকেল! বয়স তার মাত্র একদিন। মায়ের কোলের বদলে, ঠাঁই হয়েছিল ট্রেনের শৌচালয়ের মেঝে। কেউ বা কারা ওই সদ্যোজাতকে ট্রেনের শৌচালয়ে কমোডে এমন ভাবে রেখে গিয়েছিলেন, যাতে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে ট্রেন থেকে পড়ে যায় শিশুটি। কিন্তু তা হয়নি। আশ্চর্য ভাবে ট্রেন থেকে পড়ে যায়নি ওই সদ্যোজাত। পরে সাফাইয়ের সময় জীবন্ত অবস্থায় ওই শিশুটিকে উদ্ধার করেন এক সাফাইকর্মী। শনিবার এমন ঘটনাই ঘটেছে অমৃতসর-হাওড়া এক্সপ্রেসে।

Advertisment

ওই পুত্রসন্তানকে উদ্ধার করে অমৃতসর সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত বিপন্মুক্ত ওই সদ্যোজাত। এমন হাড়হিম ঠান্ডায় ট্রেনের শৌচালয়ের কমোডে দোপাট্টা জড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল শিশুটি। এমন ভাবে শিশুটির গলায় দোপাট্টা জড়ানো ছিল, যা দেখে মনে হবে কেউ তাকে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করেছিল। এমনটাই জানিয়েছেন জনৈক সাফাইকর্মী।

আরও পড়ুন, অশান্ত শবরীমালা, মন্দির চত্বরে মহিলাদের প্রবেশে ভক্তদের বাধা

Advertisment

শিশুর শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে অমৃতসর হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, শিশুটির গায়ে কোনও পোশাক ছিল না। ঠকঠক করে কাঁপছিল সে। তবে ওই সদ্যোজাত বিপন্মুক্ত। কনকনে ঠান্ডায় যেভাবে শিশুটিকে ফেলে রাখা হয়েছিল, সেই প্রতিকূল পরিস্থিতি সহ্য করে যেভাবে শিশুটি লড়েছে, তা মিরাকেল বলে বর্ণনা করেছেন পুলিশ ও চিকিৎসকরা।

এদিকে, এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা এই শিশুটিকে ওভাবে ফেলে রেখে গেলেন, সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখছে জিআরপি। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে স্টেশনগুলির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩১৭ ধারায় মামলা রুজু করেছে জিআরপি।

Read the full story in English

national news