প্রায় ৬০ জনের প্রাণঘাতী ডিএমইউ ট্রেনের চালক অরবিন্দ কুমার তাঁর লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময়ে তিনি এমার্জেন্সি ব্রেক চেপেছিলেন, কিন্তু লোকজন পাথর ছুড়তে শুরু করায় ফের ট্রেন চালিয়ে দিতে বাধ্য হন।
অরবিন্দ তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘হঠাৎ আমি দেখতে পাই যে রেল লাইনের কাছে বহু মানুষ এসে পড়েছে। আমি বারংবার হর্ণ বাজাতে থাকি এবং এমার্জেন্সি ব্রেক ব্যবহার করি। এমার্জেন্সি ব্রেক ব্যবহার করা সত্ত্বেও কিছু লোক ট্রেনে কাটা পড়ে যায়। ট্রেন যখন প্রায় থেমে আসছিল তখন অনেক লোক মিলে ট্রেনে পাথর ছুড়তে থাকে। আমার যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি ট্রেন নিয়ে এগিয়ে যাই।’’
আরও পড়ুন- “সতর্ক করা হলেও প্রতি বছরই আমরা রেল লাইনের উপর দাঁড়াতাম”
চালকের এই দাবির সঙ্গে অবশ্য প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান বা ঘটনার যে ভিডিও রেকর্ডিং সোশাল মিডিয়ায় ঘুরছে, তার সঙ্গে মোটেই মিলছে না। তবে রেলওয়ের তরফ থেকে এবছরের সর্ববৃহৎ ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত করছে না।
কারণ হিসেবে জানা গেছে, যেহেতু ট্রেনের নিজস্ব নির্ধারিত গতিপথে যাওয়ার অধিকার রয়েছে, রেললাইনের উপর মানুষের এসে পড়ার ঘটনা বেআইনি ও বিঘ্নকারী বলে গণ্য। সেই নিয়ম মতে শুক্রবারের ঘটনায় হতাহতের দায় রেলের নয়।
আরও পড়ুন- রেল লাইনের পাশে দশেরা উদযাপনের কথা জানতই না রেল কর্তৃপক্ষ
উত্তর রেলের জেনারেল ম্যানেজার বিশেষ চৌবে সানডে এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ‘‘এটা ট্রেসপাসিংয়ের ঘটনা। জনতার ওখানে থাকার কথা নয়। সত্যি কথা বলতে কী, স্থানীয় মানুষজন খুব ভাল করেই জানেন যে এটা ব্যস্ত রেলপথ এবং ১০ মিনিট অন্তর এখান দিয়ে ট্রেন যাতায়ত করে। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, ফলে রাজ্য সরকারের যে কোনও রকম তদন্তে আমরা সহযোগিতা করব।’’
Read Full Story in English