অমৃতসরের রেল দুর্ঘটনা নিয়ে জোড়া ফটকের দশেরা মেলার সংগঠক আত্মপক্ষ সমর্থনে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন নিরাপত্তার বন্দোবস্ত না-করা এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে কোনও অনুমতি না-নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা ঠিক নয়। ওই কালান্তক অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তার নাম সৌরভ মদন মিঠু। তিনি স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর বিজয় মদনের পুত্র। আপাতত সৌরভ মদন পলাতক। সোমবার প্রকাশিত হওয়া ভিডিওয় মিঠুকে বলতে শোনা গেছে, যে তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ তাঁর মানহানির জন্য আনা হয়েছে। প্রশাসনের কাছ থেকে অনুষ্ঠানের সমস্ত রকম অনুমতি নিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, Amritsar Train Accident: আর কোনওদিন রাবণ দেখতে যাব না, জানিয়ে দিল রক্ষা পাওয়া শিশু
মিঠু আরও জানিয়েছেন, দশের উপলক্ষে সমস্ত মানুষকে একত্রিত করাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল এবং তিনি ফায়ার ব্রিগেড ও জলের ট্যাঙ্কেরও বন্দোবস্ত করেছিলেন। মিঠু বলেছেন, ‘‘রেল লাইনের উপরে নয়, অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ঘেরা মাঠের মধ্যে। হঠাৎই ট্রেন এসে পড়ে এবং কী ঘটেছে কিছু বোঝার আগেই লোকজনকে পিষে দিয়ে ট্রেন চলে যায়। কিছু লোকজন ব্যক্তিগত শত্রুতার বশে আমার সম্মানহানির চেষ্টা করছে। আমি অন্তত ১০ বার লোককে ট্রেন লাইনে না দাঁড়াতে অনুরোধ করেছি। আমি এবং আমার পরিবার এ ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখিত ও ব্যথিত।’’
Organizer of Dusshera event Saurabh Madan Mithoo releases video message,says ' Had taken all permissions,had alerted crowd atleast 10 times to not stand on tracks. I am extremely pained by the incident. Some ppl are trying to defame me' #Amritsartrainaccident (location: unknown) pic.twitter.com/viPXBws3P8
— ANI (@ANI) October 22, 2018
ইতিমধ্যে, বিরোধীদল ও হতাহতের পরিবারের সদস্যরা পাঞ্জাবের পর্যটনমন্ত্রী তথা ধোবিঘাটের বিধায়ক নভজোত সিং সিধুর পদত্যাগ দাবি করেছেন। ঘটনাক্রমে, সিধুর স্ত্রী নভজোত কাউর জোড়া ফটকের ওই দশের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। সোশাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে অনুষ্ঠানের এক সংগঠক সগর্বে সিধুর স্ত্রী-কে জানাচ্ছেন যে ৫০০ লোক রেললাইনের উপর থেকে অনুষ্ঠান দেখছে। এসব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন নভজোত কাউর। তিনি বলেছেন, সংগঠকরা বারবার জনতাকে রেললাইনের উপর না দাঁড়ানোর কথা বলেছিল। সিধু ও সিধুপত্নীর বিরুদ্ধে অনুষ্ঠানের সংগঠক সৌরভ মিঠুকে আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার অমৃতসর সিভিল হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে অস্বস্তির মধ্যে পড়েন সিধু। শুক্রবারের ঘটনায় মৃত ১৭ বছরের তরুণ বাসুর বাবা ভিকি সানোত্রা সিধুকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেন যে মিঠু যদি অপরাধী না হন, তাহলে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন?