/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/AMU-1.jpg)
আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের আন্দোলন দমনে পুলিশ স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্য়ালয়ে পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিনিং রিপোর্টে সেই তথ্যই উঠে এসেছে। সাধারণত যুদ্ধ ও সন্ত্রাস দমনে এই গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, সেই সময় উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী ও অধ্যাপকদের দাবি অনুশারে আন্দোলন বন্ধের নামে বর্বরচিতভাবে দমন চালিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টকে অবশ্য মানতে চায়নি যোগীর রাজ্যের পুলিশ। তাদের দাবি আত্মরক্ষার্থেই তাদের জোর কাটাতে হয়েছিল। আলিগড়ের পুলিশ সুপার অভিষেক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'তর্কের খাতিয়ে যদি ধরেও নেওয়া হয় পুলিশ স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করেছে তবে সংখ্যায় তা কটা? তদন্তের মাধ্যমেই একমাত্র তা প্রকাশ্যে আসবে।' পুলিশের দাবি পড়ুয়ারাই সেদিন পাথরের সঙ্গে স্টান গ্রেনেড ছুড়েছিল। পুলিশ বলছে, এই গ্রেনেডে প্রাণহানির সম্ভাবনা কম, কিন্তু ওই গ্রেনেডের ভযঙ্কর আওয়াজের মাধ্যমে ভিড়ে সররানোর চেষ্টা করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের জেরে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য কী?
মঙ্গলবারই ১৩ সদস্যের ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং কমিটি সাংবিধানিক বৈঠক করে রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পুলিশের স্টান গ্রেনেডের ব্যবহারকে লঘু করে দেখিয়েছেন। এক পড়ুয়া কাঁদানে গ্যাসের সেল ভেবে রাস্তায় পরে থাকা গ্রেনেড হাতে ধরেছিল। তখনই তা ফেটে যায়। ফলে ওই পড়ুয়ার হাত জখম হয়েছে। পুলিশ শত্রপক্ষকে দমনেই এই গ্রেনেড ব্যবহার করে থাকে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। এছাড়াও অভিযোগ, ওই দিন পুলিশের মুখে জয়শ্রীরাম ধ্বনি শোনা গিয়েছে। রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, তারা পুলিশকে ডেকেছিলেন, তাহলে কীভাবে ব়্যাফ এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ভাঙল।
দেশজুড়ে সিএএ প্রতিবাদ চলছে। গত ১৫ই ডিসেম্বর বিক্ষোভে শামিল হয় আলিগড় ও জামিয়া মিলিয়ার পড়ুয়ারা। মাঝপথেই পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে আন্দোলনকারীদের উপর অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। বহু পড়ুয়া এতে জখম হয় বলে অভিযোগ।
Read the full story in English