Advertisment

ভিড় ট্রেন থেকে পড়ে ডানকুনিতে মৃত চন্দ্রকোণার ব্যক্তি! 'দায় কার', উঠছে প্রশ্ন

Dankuni Rail Accident: দুর্ঘটনার পর তাঁকে প্রথমে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
UP Accident, Barabanki, Truck hits Bus

প্রতীকী ছবি

Dankuni Rail Accident: মর্মান্তিক কাণ্ডে মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়াল হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে। ডানকুনি থেকে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু এক প্রৌঢ়ের। এই দুর্ঘটনার জন্য ভিড় ট্রেনকেই দায়ী করছে মৃতের পরিবার। জানা গিয়েছে ,মৃতের নাম চন্দন প্রচণ্ড, বয়স ৫৫ বছর। তাঁর বাড়ি মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোডে। দুর্ঘটনার পর তাঁকে প্রথমে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দ্বিতীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় চন্দনবাবুর।

Advertisment

তারপরেই তাঁর দেহ অ্যাম্বুলেন্সে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসাপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়। জানা গিয়েছে, হুগলির চন্দ্রকোণা থেকে ডানকুনি শ্যালকের বাড়ি এসেছিলেন তিনি। এদিন হাওড়া হয়ে খড়গপুর লোকাল ধরে বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সেই মোতাবেক ডানকুনি থেকে ভিড় ঠেলেই ট্রেনে ওঠেন চন্দনবাবু। কিন্তু বাইরে ঝুলছিলেন তিনি। ট্রেন বেলানগর স্টেশনে ঢোকার আগে হাত ফসকে চলন্ত ট্রেন থেকে নীচে পড়ে যান ওই প্রৌঢ়। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা এবং জিআরপি তাঁকে উদ্ধার করে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসাপাতালে পাঠান।

এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের আত্মীয়র অভিযোগ, ‘করোনাকালে ট্রেনে ৫০% যাত্রীভার বহনের কথা থাকলেও সেই নিয়ম খাতায়-কলমে। অনেকে নিত্যযাত্রা করে বাদুড়ঝোলা হয়ে। যার খেসারত দিতে হল চন্দনবাবুকে। এর দায় কে নেবে?’    

এদিকে, বিভ্রান্তি এবং যাত্রী দুর্ভোগ এড়াতে লোকাল ট্রেন বিধি শিথিল করল নবান্ন। সোমবার থেকেই রাত ১০টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন পাবেন নিত্যযাত্রীরা। যদিও রবিবার ঘোষণা হয়েছিল সন্ধ্যা ৭টার পর আর নেই লোকাল ট্রেন। সে নিয়ে সোমবার থেকেই ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি। হাওড়া লাইনের একাধিক স্টেশনে যাত্রীবিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। সে সবদিক বিবেচনা করেই লোকাল ট্রেনের বিধি শিথিল করল নবান্ন।

পাশাপাশি, সোমবার থেকে লোকাল ট্রেন বিধি চালু হতেই সন্ধ্যার পর স্টেশনে স্টেশনে বাড়ে নিত্যযাত্রীদের ভিড়। করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ৭টার আগে ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরার একটা তোরজোড় দেখা যায় নিত্যযাত্রীদের মধ্যে। বিভিন্ন সূত্র মারফৎ সেই খবর পৌঁছয় নবান্নে। তারপরেই ট্রেন বিধিতে শিথিলতা আনতে তৎপর হয় রাজ্য সরকার। এমনটাই নবান্ন সুত্রে খবর।

আগামি ১৫ জানুয়ারি অবধি কার্যকর এই বিধি। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী সোমবার জানান, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়েই রাত ১০টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলবে। তারপর আর ট্রেন চলবে না। রাজ্য সরকারের পরামর্শ মেনে সব শহরতলি, ইএমইউ-এর লোকাল ট্রেন পরিষেবা বাড়ানো হল। পৃথক একটা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Local Train Fell From Train
Advertisment