IAF: বৃহস্পতিবার সকালে ব্যস্ত সময়ে হঠাৎই বারমের জাতীয় সড়কে জরুরি অবতরণ করে বায়ুসেনার সি-১৩০ হারকিউলিস যুদ্ধবিমান। শুধু অবতরণ নয়, বিমানের ভিতর থেকে নেমে আসেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জরুরি অবতরণের সময় সেই বিমানে ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ সড়ক-পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকরি এবং সিডিএস বিপিন রাওয়াত। এভাবেই পাক সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি দূরে জাতীয় সড়ক-৯২৫-এ মহড়া অবতরণ হল বায়ুসেনার যুদ্ধ বিমানের। .
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে জাতীয় সড়ক সেনা বিমান অবতরণের উপযুক্ত কিনা, সেটা পরীক্ষা করাই ছিল এই মহড়া অবতরণের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যভেদে ১০০% সফল ভারতীয় বায়ুসেনা। এমনটাই আইএএফ সূত্রে খবর। সেই জাতীয় সড়কের সাত্তা-গান্ধভ এলাকার ৩-কিমি এলাকায় এই মহড়া অবতরণ চলে। সি-১৩০ হারকিউলিসের পর একটা সুখোই যুদ্ধবিমানও দুই মন্ত্রীর চোখের সামনে সেই এয়ারস্ট্রিপে অবতরণ করে। এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, জাতীয় সড়ক ৯২৫ দেশের প্রথম সড়ক, যাকে বিমান অবতরণের উপযোগী করে গড়ে তুলেছে জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষ।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি বলেন, ‘এই প্রকল্প রূপায়নে আমরা বায়ুসেনার পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছে। এই অঞ্চলের ৩০০ কিমির মধ্যে এয়ার স্ট্রিপ কিংবা বিমানবন্দর নেই। তাই সিডিএস বিপিন রাওয়াতকে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম জাতীয় সড়ককে বিমান অবতরণ এবং যাত্রী বিমানবন্দরের উপযোগী করে তুলতে। আমরা জমি দিয়েছি, ওরা বাকি সব সাহায্য পেয়েছে।‘
এদিকে, শুধু বারমের জাতীয় সড়ক ৯২৫ নয়, দেশের আরও ২৭টি জাতীয় সড়কের পর্যবেক্ষণ চলছে। সেখানেই এমন জরুরি অবতরণের স্ট্রিপ তৈরি করা যায় কিনা। এমনটাই সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন