Afghanisthan Crisis: গত দুই দশক ব্যবসার কাজে কাবুলে বসবাসকারী ভারতীয় বনশ্রী লাল আরেন্দে অপহৃত হয়েছেন। গান পয়েন্টে তাঁকে কাবুলের রাস্তা থেকে অপরহরণ করা হয়েছে। তাঁর পরিবার মারফৎ বিদেশ মন্ত্রকে এই খবর পৌঁছতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। সে দেশের অন্তর্বর্তী তালিবান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারাও বিষয়টির ওপর নজর রেখেছে এবং স্থানীয় থানাকে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে। এমনটাই বিদেশ মন্ত্রক সুত্রে খবর।
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়েছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেন, ‘আমরা সে দেশের সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছি। আমাদের কাছে খবর আছে স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। আমরা সেই তদন্তের ওপর নজর রাখব।‘ এদিকে, অপহৃত ব্যক্তি আদৌ ভারতীয়? এই প্রশ্নের জবাবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, আমার কাছে তেমন খবর আছে। তবে আমরা নথি খতিয়ে দেখব। জানা গিয়েছে, ফরিদাবাদে থাকেন বনশ্রীর পরিবার। গত ২০ বছর ধরে ব্যবসার কাজে কাবুলে থাকছেন ওই ব্যক্তি।
এদিকে, এখনও অনেক ভারতীয় এবং এ দেশের আশ্রয় প্রত্যাশী আফগান নাগরিক আফগানিস্তানে আটকে। তাঁদের ফিরিয়ে আনাত ব্যাপারে বিদেশ মন্ত্রকের এই কর্তা বলেন, ‘কাবুল বিমানবন্দরে যাত্রী বিমান পরিষেবা চালু না হওয়া পর্যন্ত ওদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বিমান পরিষেবা ব্যবস্থা চালু না হলে কীভাবে ওদের ফিরিয়ে আনা হবে? বিমান পরিষেবা চালু হলেই আমারা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেব। তখনই তাঁদের ফিরিয়ে আনতে পারব।‘
এদিকে, কাবুল বিমানবন্দর তালিবানের দখলে যাওয়ার পর এই প্রথম সেখানে বিদেশি কোনও বিমান নামল। সংবাদসংস্থা এএফপি-র খবর অনুযায়ী সোমবার সকালে পাকিস্তানের একটি বিমান কাবুলে নামে। ১০ যাত্রীকে নিয়ে কাবুলে পৌঁছোয় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ওই বিমান।
কাবুল বিমানবন্দর তালিবানের নিয়ন্ত্রণে যেতেই বিদেশি বিমান-ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপত্তাজনিত কারণেই আপাতত আফগানিস্তান সফর এড়াচ্ছে বিশ্বের বাকি দেশগুলি। তবে সোমবার সকালে কাবুলের মাটিতে নামল পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের বিমান।
আফগানিস্তানে গত সপ্তাহেই তালিবানের সরকার তৈরি হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি দেশ তালিবান নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করছে। ভারত-সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এখনও তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সরকারিভাবে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও রবিবার এব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে দিল্লি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন