Advertisment

সংক্রমণ রুখতে অন্ধ্রে এবার থেকে ১৮ ঘণ্টা কার্ফু, আওতার বাইরে অত্যাবশকীয় পণ্য

অক্সিজেনের অভাবে গত ২৪ ঘন্টায় কর্নাটকে ২৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। দিল্লি, মেরঠের পর কর্নাটকের চামরাজনগর জেলা হাসপাতালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
UP Police, Noida, Curfew, Covid Norms, ইউপি পুলিশ, কার্ফু, নয়ডা

করোনা কার্ফু ফাইল ছবি।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্ফুর মেয়াদ বাড়ছে অন্ধ্রপ্রদেশে। ৫ মে থেকে সেই রাজ্যে দুপুর ১২টা থেকে সকাল ৬টা অবধি অর্থাৎ ১৮ ঘণ্টা কার্ফু লাগু থাকবে। দিনে মোট ৬ ঘণ্টা খোলা থাকবে দোকান-বাজার। মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডির সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।  

Advertisment

যদিও অত্যাবশকীয় পণ্যের বাজার এই বিধিনিষেধের বাইরে। ইতিমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্ধ্রে একদিনে প্রায় ২৪ হাজার মানুষ সংক্রমিত। মৃত ৮৩ জন।

এদিকে, অক্সিজেনের অভাবে গত ২৪ ঘন্টায় কর্নাটকে ২৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। দিল্লি, মেরঠের পর কর্নাটকের চামরাজনগর জেলা হাসপাতালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য। চামরাজনগর ডেপুটি কমিশনের দাবি অনুসারে, মৃতদের মধ্যে ২৩ জন কর্নাটকের চামরাজনগর জেলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। একজনের প্রাণ গিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে।

এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য সরকার। কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী সুরেশ কুমার বলেছেন, ‘কেন একসঙ্গে এতজনের প্রাণ গেল, তা জানতে চেয়ে জেলা প্রসানের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠান হয়েছে। কোনও সরকারি কর্মীর গাফিলতি থাকলে কড়া শাস্তি হবে।’

জানা গিয়েছে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শতাধিক কোভিড রোগী। তাঁদের মধ্যে ২৪ জন অক্সিজেনের অভাবে মারা যান গত ২৪ ঘণ্টায়। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন বিজেপি শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। এ নিয়ে জরুরি বৈঠকও তলব করেছেন।

কর্নাটকের কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার এই ঘটনাকে ক্রিমিনাল অফেন্স বলে জানিয়েছেন। টুইটে রাজ্য সরকারকে নিশানা করে তাঁর প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী ইরেদুরাপ্পা সব সময় বলছেন অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই। তাহলে কেন এই ঘটনা ঘটল? এর জন্য কে দায়ী? সরকার অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারচ্ছে না বলে কতজনের প্রাণ যাবে?

karnataka Andhra Pradesh Covid-19 in India Oxygen Curfew
Advertisment