বিশাখাপত্তনমের এলজি পলিমার্স লিমিটেড কারখানা চত্বর বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিল অন্ধপ্রদেশ হাইকোর্ট। সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারকে এই নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়াও ওই নির্দেশে বলা হয়েছে যে, কারখানার ডিরেক্টররা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া দেশ ছাড়তে পারবেন না। গ্যাস লিক তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ছাড়া কারখানা এলাকায় আপাতত কারোরই প্রবেশের অধিকার নেই।
গত ৭ মে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে রাসায়নিক কারখানায় গ্যাস লিকে সাত জনের মৃত্যু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েছিল প্রায় পাঁচশ-রও বেশি মানুষ। মৃতদের মধ্যে ছিলেন মহিল ও শিশু। ওই দিন ভোর রাতে গ্যাস লিক হয় গোপালাপট্টনমের এলজি পলিমার্স লিমিটেড কারখানায়। ভোর তিনটের সময় গ্যাস লিক হয়ে যখন অধিকাংশ মানুষ ঘুমাচ্ছিলেন। প্রচুর গবাদি পশুও মারা গিয়েছে।
তদন্ত চলছে, তার মধ্যেই আদালতের অনুমতি না নিয়েই কীভাবে পলিমার কারখানা থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় স্টাইরিন স্থানান্তরিত করা হচ্ছিল? কে এর জন্য দায়ী? রাজ্য সরকারের থেকে তার জবাব তলব করেছে অন্ধ্র হাইকোর্ট। এদিনের নির্দেশে বলা হয়েছে, 'আবারও জানানো হচ্ছে যে, এলজি পলিমার্স লিমিটেড কারখানার স্থাবর-আস্থাবর সম্পত্তি আদালতের অনুমতি ব্যাতীত স্থানান্তর করা যাবে না।'
স্টাইরিন গ্যাস লিক কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করা হয়েছিল। লকডাউনের মাঝে কারখানার কাজ পুনরায় চালুর করার জন্য কী এলজি পলিমার্স রাজ্য সরকারের থেকে অনুমতি নিয়েছিল? জগনমোহন রেড্ডি প্রশাসনের কাছ থেকে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন