মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে সরকারের ধাঁচে অন্ধ্রপ্রদেশে দুয়ারে চাল প্রকল্প। এদিন এই কর্মসূচির সূচনা করলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। যাদের রেশন কার্ড আছে, তাঁরাই এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত। এমনটাই সূত্রের খবর। এই দুয়ারে চাল প্রকল্পের সঙ্গে আড়াই হাজার মোবাইল ডিসপেন্সিং ইউনিটের সূচনা বিজয়ওয়াড়া থেকে করেন তিনি।
এই প্রকল্পের অংশ হতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে প্রবীণ ও বিশেষভাবে অক্ষম নাগরিকদের। তাঁদের ধৈর্যকে এদিন কুর্নিশ জানান মুখ্যমন্ত্রী রেড্ডি। তিনি বলেন, 'আমার সরকার সবার ঘরে ঘরে ভাল চাল পৌছনোর উদ্যোগ নিয়েছে। রেশন কার্ড আছে, এমন সবাই এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত। মোবাইল যানের মাধ্যমে এই চাল আপনাদের ঘরে ঘরে পৌঁছবে। সরকারের কোষাগারে ৮৩০ কোটি টাকার ব্যয় হবে।'
আরও পড়ুন দেড় বছর কৃষি আইন স্থগিতের প্রস্তাব কেন্দ্রের, খতিয়ে দেখার আশ্বাস কৃষকদের
এদিন তিনি পূর্বতন চন্দ্রবাবু সরকারের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, 'আগের সরকারের আমলে রেশনের গুণগত মান খারাপ ছিল। তাই অধিকাংশ মানুষ সেগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।' সেই সমস্যা দূর করতে কার্ড আছে এমন নাগরিকদের গুণগত মান ভালো, এমন রেশন তুলে দেওয়া হবে। এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডি। তিনি আরও বলেছেন, 'গণবণ্টন দফতর খাদ্যশস্য সংরক্ষণে ব্যাপক বদল এনেছে।এর ফলে কোনওরকম কাঁকর ছাড়া চাল কার্ড হোল্ডাররা পাবেন।'
জানা গিয়েছে, গ্রাম ও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকদের এই প্রকল্পে ব্যবহার করা হবে। কার্ড হোল্ডারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে ব্যবহারযোগ্য ব্যাগের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পৌঁছন হবে এই রেশন। ইউনিক কোড, ট্যাগ দিয়ে সিল করা হবে এই ব্যাগ। ফলে চাল চুরির কোনও জায়গা থাকবে না। যেহেতু পরিবহণ যানে জিপিএস থাকবে, তাই রেশন ঠিক কবে পাওয়া যাবে? সে নিয়ে পর্যাপ্ত ধারণা থাকবে প্রাপকদের। প্রতি মাসের ১৮ দিন করে এই যান গণবণ্টনে ব্যবহার হবে। এমনটাই সূত্রের খবর।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন