আয়ুর্বেদে সারবে করোনা! আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞের দাবিতে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরে হইচই। আয়ুর্বেদিক ওষুধ কিনতে কোভিড বিধি ভেঙে লাইন লাইন পড়ল নেল্লোরের কৃষ্ণপতনম শহরে। যা দেখে মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি দ্রুত সেই আয়ুর্বেদিক ওষুধের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করার নির্দেশ দিলেন। তাঁরই দলের বিধায়ক আবার এই ওষুধকে চমৎকার বলে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন, যা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের বিধায়ক কে গোবর্ধন রেড্ডি শহরে সেই আয়ুর্বেদিক ওষুধের প্রচার করে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। নিজের সংসদীয় ক্ষেত্রে তাঁর দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি জানিয়েছেন, চমৎকারের মতো করোনা সারিয়ে তুলছে এই ওষুধ। তিনি আরও বলেছেন, "বনিগি আনন্দাইয়া একজন প্রথিতযশা আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ। তিনি পাঁচটি ঔষধি মিশ্রণ করে করোনা সারিয়ে তোলার ওষুধ আবিষ্কার করেছেন। বহু করোনা রোগীর উপর এই ওষুধে ভাল ফল দেখা গিয়েছে। সেই কারণেই কৃষ্ণপতনমে তাঁর বাড়ির বাইরে এত মানুষের ভিড় জমেছে।"
কিন্তু করোনা বিধি না মেনে এত মানুষের ভিড় জমলে তো সংক্রমণ বাড়বে! তার উত্তরে বিধায়কের সাফাই, "নিরাপত্তা রক্ষীরা যথাসাধ্য চেষ্ট করছেন যাতে মানুষ শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলেন।" তবে স্বাস্থ্য দফতরের বহু আধিকারিক, প্রাক্তন আমলারা বিশেষ করে প্রাক্তন স্বাস্থ্য সচিব পি ভি রমেশ এই জমায়েতকে সুপারস্প্রেডার হিসাবে চিহ্নিত করতেই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে অন্ধ্র সরকার।
সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, "বিধায়ক কে গোবর্ধন রেড্ডিকে নিষেধ করা হয়েছে এই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার প্রচার করার জন্য। যতক্ষণ না স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই চমৎকারী চিকিৎসার বিষয়ে রিপোর্ট জমা না দিচ্ছেন, এই নিয়ে কোনও শোরগোল উচিত নয়। মুখ্যমন্ত্রী গোটা বিষয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। সরকার ঠিক করেছে এই ওষুধকে আইসিএমআরের কাছে পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য। নেল্লোরে ওই আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞের কাছেও স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসকদের দল যাবে ওষুধ সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে।"