কঠিন সময়ে ভাই অনিল আম্বানির পাশে মুকেশ-নীতা

অনিল বলেছেন, বিপদের সময় তাঁর পাশে মুকেশ-নীতারা দাঁড়িয়ে পরিবারের গুরুত্ব কতটা তা বুঝিয়েছেন। পারিবারিক মূল্যবোধের এক যথার্থ প্রদর্শন সামনে রেখেছেন তাঁরা।

অনিল বলেছেন, বিপদের সময় তাঁর পাশে মুকেশ-নীতারা দাঁড়িয়ে পরিবারের গুরুত্ব কতটা তা বুঝিয়েছেন। পারিবারিক মূল্যবোধের এক যথার্থ প্রদর্শন সামনে রেখেছেন তাঁরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
anil ambani, অনিল অম্বানি

অনিল অম্বানি। ফাইল ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

মাথায় ঝুলছিল সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন। ৪ সপ্তাহের মধ্যে এরিকসন সংস্থাকে বকেয়া টাকা মেটাতে হবে অনিল আম্বানিকে। না হলে, কারাবাসের সাজা ভোগ করতে হবে রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের কর্ণধারকে। বকেয়া টাকার অঙ্কটা ৫৫০ কোটি। কিন্তু কীভাবে মেটাবেন এত টাকা? ভাইয়ের বিপদে দাদা পাশে দাঁড়াবেন না, তাই আবার হয় নাকি। বিপদের সময় ভাইয়ের পাশে দাঁড়াতে এতটুকুও দ্বিধা বোধ করেননি মুকেশ আম্বানি। শুধু কি দাদা, বৌদি নীতা অম্বানিও দেওরের বিপদে ছুটে এসেছেন। হ্যাঁ, ‘সঠিক সময়ে’ পাশে দাঁড়িয়ে কারাবাসের সাজার হাত থেকে অনিল আম্বানিকে বাঁচিয়েছেন তাঁর দাদা-বৌদি মুকেশ ও নীতা আম্বানি।

Advertisment

এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতি দিয়ে দাদা-বৌদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্বয়ং অনিল। মুকেশের ভাই বলেছেন, ‘‘এই সময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য দাদা মুকেশ ও নীতাকে অনেক ধন্যবাদ।’’ পাশাপাশি অনিল বলেছেন, বিপদের সময় তাঁর পাশে মুকেশ-নীতারা দাঁড়িয়ে পরিবারের গুরুত্ব কতটা তা বুঝিয়েছেন। পারিবারিক মূল্যবোধের এক যথার্থ প্রদর্শন সামনে রেখেছেন তাঁরা। দাদা-বৌদিকে পাশে পেয়ে তিনি যে আপ্লুত সে কথাও হাবেভাবে বুঝিয়েছেন আরকমের মালিক।

আরও পড়ুন, এরিকসনের ঋণ শোধ, জেলে যাচ্ছেন না অনিল আম্বানি

সোমবারই এরিকসন সংস্থাকে বকেয়া প্রাপ্য হিসেবে ৫৫০ কোটি টাকা দিয়েছে আরকম সংস্থা।এরিকসন সংস্থার বকেয়া প্রাপ্য মেটানোর জন্য আরকম সংস্থাকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisment

উল্লেখ্য, ইচ্ছাকৃতভাবে সুইডেনের এই সংস্থাটির প্রাপ্য অর্থ না মেটানোয় গত মাসের শেষের দিকে আদালত অবমাননার কোপে পড়েছিলেন অনিল আম্বানি। সুপ্রিম কোর্ট আরকম কর্তা অনিল আম্বানিকে চার সপ্তাহের মধ্যে ৪.৫ বিলিয়ান অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। আর এই নির্দেশ পালন করা না হলে আদালত অবমাননার দায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

Read the full story in English

national news