উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশের চিল্লা হ্রদ থেকে নিখোঁজ রিসেপশনিস্ট অঙ্কিতা ভান্ডারির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার দেহ শনাক্ত করেছেন পরিজনরা। অঙ্কিতা ভান্ডারি খুনের পর অভিযুক্তরা তাকে নিখোঁজ দেখিয়ে পুলিশকে বার বার বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হন বছর -১৯-এর অঙ্কিতা ভান্ডারি। তিনি একটি রিসোর্টে রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। এ ঘটনায় রিসোর্টের মালিক পুলকিত আর্যসহ ৩ আসামিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার পুলিশ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলে স্থানীয় মানুষ ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। বিক্ষোভরত স্থানীয় লোকজন অভিযুক্তদের ওপর হামলা চালায়। উপস্থিত পুলিশকর্মীরা কোনরকমে উন্মত্ত জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনীতির রঙ লাগতে শুরু করেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, পুলিশ এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনেকটাই দেরি করেছে। তাদের অভিযোগ যে মূল অভিযুক্তের বাবা বিজেপি নেতা হওয়ার কারণেই পুলিশের এই ঢিলেমি।
আরও পড়ুন : < মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের মর্যাদাহানি, ভয়ঙ্কর অভিযোগ শ্রীকান্ত শিন্ডের বিরুদ্ধে, ছবি ঘিরে তুঙ্গে চর্চা! >
যদিও এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির বিষয়ে কোনরকম ঢিলেমি করা হবে না জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “ এই ধরনের অপরাধের জন্য কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিৎ। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ তদন্ত করছে, ইতিমধ্যেই মূল আসামীকে গ্রেফতার করা এই ধরনের জঘন্য অপরাধের জন্য কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে, অপরাধী যেই হোক না কেন।”
অঙ্কিতা ভান্ডারির মৃতদেহ উদ্ধারের পর উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন আইজির নেতৃত্বে সিট এই খুনের ঘটনার তদন্ত করবে। তিনি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, “আজ সকালে মেয়ে অঙ্কিতার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হৃদয় বিদারক এই ঘটনায় আমি শোকাহত। দোষীদের কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করতে, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ পি রেনুকা দেবীর নেতৃত্বে একটি সিট গঠন করা হয়েছে। তারাই খুনের ঘটনার তদন্ত করবে।
অন্য একটি টুইটে তিনি বলেছেন “গভীর রাতে অভিযুক্তদের অবৈধভাবে নির্মিত রিসর্ট বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জঘন্য অপরাধের অপরাধীদের রেহাই দেওয়া হবে না এটাই আমাদের সংকল্প”।