'গণতন্ত্রকে আপোস করতে হচ্ছে', দাবি পদত্যাগী আইএএসের

ফয়জল, গোপীনাথনের পর চাকরি থেকে ফের ইস্তফা আরও এক আইএস অফিসারের। কাজের পরিসরে আপস করতে না চাওয়াতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন তিনি।

ফয়জল, গোপীনাথনের পর চাকরি থেকে ফের ইস্তফা আরও এক আইএস অফিসারের। কাজের পরিসরে আপস করতে না চাওয়াতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sasikanth Senthil

পদত্যাগী আইএএস

ফয়জল, গোপীনাথনের পর চাকরি থেকে ফের ইস্তফা আরও এক আইএস অফিসারের। ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে শুক্রবার চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন দক্ষিণ কন্নড়ের ডেপুটি কমিশনার শশীকান্ত সেনন্থিল। তবে বাইরে জানিয়েছেন,  কাজের পরিসরে আপস করতে না চাওয়াতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে এক বিবৃতিতেও পদত্যাগী আইএস অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর এই সিদ্ধান্তের পিছনে বিশেষ কোনও কারণ বা কারোর প্রভাব নেই।

Advertisment

শশীকান্ত সেনন্থিলের দাবি, 'যেভাবে মানুষের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে বা মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে তারপর তাঁর পক্ষে কাজ চালিয়ে যাওয়া অনৈতিক হবে।' বৈচিত্রের গণতন্ত্রে প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে মনে করেন এই আইএস। তাঁর সংয়োজন, 'আগামী দিনে জাতির মৌলিক কাঠামো চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে ও এর থেকে ভালো আইএস পদে না থাকা। এতে দেশবাসীর মঙ্গল হবে।'

আরও পড়ুন: চন্দ্রযান নিয়ে এত মাতামাতি কেন? কারণ জানালেন মমতা

Advertisment

এর আগে কাশ্মীরে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন কান্নান গোপীনাথন নামে ৩৩ বছরের এক আইএস অফিসার। দাদরা নগরহাভেলির প্রশাসক হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

ইতিমধ্যেই শশীকান্ত সেনন্থিলের পদত্যাগপত্র কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিব টিএম বিজয় ভাস্করের কাছে পাঠিয়েছেন। বলা হয়েছে, পদত্যাগী আইএস অফিসার তাঁর ইস্তফা পত্রে যেসব প্রশ্ন তুলেছেন তা যেন খতিয়ে দেখা হয়।

২০০৯ ব্যাচের কর্ণাটক ক্যাডারের আইএএস অফিসার, সেন্থিল ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে দক্ষিণ কন্নড়ের ডিসি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। জেলা প্রশাসনের প্রতি তার সক্রিয় ভূমিকার জন্য প্রশংসিত ছিলেন তিনি। সেন্থিল টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়র। গত সপ্তাহ ধরে ছুটিতে ছিলেন এই আইএস। শুক্রবার কাজে যোগ দিয়েই পদত্যাগ করেন তিনি।