কর্নাটকের স্কুলে সিএএ বিরোধী নাটক ঘিরে বিতর্ক। বিদারের পড়ুয়াদের নাটক করানো এবং অনুষ্ঠানের পর সেই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করানোয় 'রাষ্ট্রদ্রোহের' অভিযোগ তোলা হয় বিদারের শাহিন স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এইআইআর হয়েছিল ওই স্কুলের স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ওই নাটকে কেন প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। রবিবারের ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করা হয় শিশুর অভিভাবককে।
বিদারের পুলিশ সুপার শ্রীধর টি বলেছেন, 'শাহিন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে এছাড়াও এই ঘটনায় পুলিশের হেফাজতে রয়েছে শিশুর মা অনুজা মিনসা। ২৬ জানুয়ারির লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেছে পুলিশ। তার ভিত্তিতেই ওই দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়।' বিতর্কিত নাটকের পিছনে প্রধান শিক্ষিকার ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। জানা গিয়েছে, সিএএ বিরোধী নাটকের সংলাপ ধৃত প্রধান শিক্ষিকারই লেখা ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, নাটকের একটি অংশে প্রধানমন্ত্রীকে হেয় ককরা হয়েছে, তাঁর ছবি বিকৃত করা হয়েছে। সেই সময় শিশুকে চপ্পল জুগিয়েছিল অরেক অভিযুক্ত অনুজা মিনসা। ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজত হয়েছে।
গত রবিবার কর্নাটকের বিদারে অবস্থিত শাহিন এডুকেশন ইনস্টিটিউটির এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ করেন নিলেশ রক্সায়াল নামে এক সমাজকর্মী। এইআইআরে লেখা হয়, রবিবার শাহিন স্কুলে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দিয়ে একটি নাটক করানো হয়। তার বিষয়বস্তু ছিল সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী। এই নাটকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি খুব খারাপভাবে দেখানো হয়েছে এবং এমন সমাজকে এণন একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে, যার অর্থ, সিএএ এবং এনআরসি লাগু হলে কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর লোকেদের দেশছাড়া হতে হবে, যা সম্পূর্ণ ভুল। এমনকি তিনি অভিযোগে আরও জানান, এই অনুষ্ঠানের পর মহম্মদ ইউসুফ রাহিম নামে ওই ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি শেয়ার করে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করছেন।
তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই শাহিন স্কুল এবং মহম্মদ নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ প্রচারের জন্য এফআইআর করে পুলিশ।
Read the full story inn English