নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এনআরসির বিরুদ্ধে এবার রাস্তায় নামলেন রূপান্তরকামী ও কুইয়াররা। কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই সহ দেশের সব বড় শহরগুলিতে চলছে তাদের নেতৃত্বে এই প্রতিবাদ। কলকাতার শহিদ মিনার থেকে মিছিল বেরিয়েছে। যার অভিমুখ আরএসএসের সদর দফতর কেশব ভাবন। চেন্নাইতে চিত্রা থিয়েটার থেকে রমাদা হাউস পর্যন্ত মিছিল হবে। এছাড়া, জামিয়া মিলিয়া, প্রেস ক্লাব ও যন্তরমন্তর থেকে রাজধানীর বুকে সিএএ প্রতিবাদ মিছিল বের হবে।
নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ এই প্রতিবাদে শামিল। এবার পথে নেমে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রূপান্তরকামীরা। আইন ঘিরে এদিনও একে অপরকে নিশানা করেন শাসক ও বিরোধী নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: ‘মোদী কি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত?’ চরম কটাক্ষ মমতার
কলকাতা, পুরুলিয়ার পর এদিন উত্তরবঙ্গে সিএএ প্রতিবাদ ব়্যালি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ফের প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। চড়া সুরে বলেন, 'নরেন্দ্র মোদীকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনি হিন্দুস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়ে পাকিস্তানের কথা বলছেন, আপনার লজ্জা করে না। আপনি কি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত?' তাঁর সংযোজন, 'আমরা পাকিস্তান চাই না। আমরা ঐক্যবদ্ধ হিন্দুস্তান চাই। আপনি তো বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটানের কথা বলেন না। খালি পাকিস্তান পাকিস্তান করছেন। আমরা পাকিস্তানের কথা শুনতে চাই না।'
আরও পড়ুন: মতাদি কেন বিরোধিতা করছেন? শুধু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চান: শাহ
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রতিবাদকে নিশানা করে বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, 'আপনি যদি প্রতিবাদ করতে চান তবে পাকিস্তানে নৃশংসতার বিরুদ্ধে সরব হন। পাকিস্তানের হিন্দু, জৈন, খ্রিস্টান-সহ সংখ্যালঘু মানুষদের উপর গত ৭০ বছর ধরে অত্যাচার করা হয়েছিল। কেন এত বছরেও কংগ্রেস এই ইস্যুটির উত্থাপন করেনি?'
দিল্লিতে ১লা জানুয়ারি পড়ুয়াদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে স্লোগান উঠেছিল, 'কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে, হাম দেখেঙ্গে।' এই বিক্ষোভকে দেশের সংবিধান রক্ষার আন্দোলন বলে দাবি করে তারা। বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন, অভিনেত্রী সারা ভাস্কর, মহম্মদ আয়ুব জিসান, কমেডিয়ান সঞ্জয় রাজাউরা, কবি গউহর রাজা। এছাড়া দেখা যায়, বাটলা হাউস খ্যাত নার্গিস ও তাঁর আত্মীয়দের।
Read the full story in English