সিএএ বিরোধিতার স্বর ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। কেরালা, পাঞ্জাব, রাজস্থানের পর এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও পাস হল সিএএ বিরোধী প্রস্তাব। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভেঙে দিলে আমার সরকার ভেঙে দিন, কেয়ার করি না। মানুষকে কেয়ার করি। কিন্তু সংবিধানকে টুকরো করতে দেব না। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অবিলম্বে বাতিল করা হোক। দিল্লিতে এনপিআর বৈঠক এড়ানোর হিম্মত রাখে বাংলা’’।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রথম কেরালা বিধানসভায় প্রস্তাবনা পাস করা হয়। প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দেয় শাসক এলডিএফ ও বিরোধী ইউডিএফ। কেরালা বিধানসভায় রয়েছেন মাত্র একজন বিজেপি বিধায়ক। একমাত্র তিনিই প্রস্তাবনার বিপক্ষে ভোট দেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ‘বৈষম্যমূলক’ ও ‘সংবিধানের ধর্ম নিরপেক্ষ’ ধারার বিরুদ্ধে বলে দাবি করেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের প্রস্তাব মেনেই বাম সরকার কেরালা বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ‘একটা ভুল করে ফেলেছিলাম, আপনারা করবেন না’, মমতার গলায় আত্মসমালোচনার সুর
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে পাঞ্জাব বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করেছে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সরকার। পাঞ্জাব বিধানসভায় ২ দিনের বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশ করেন সে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রহ্ম মহিন্দ্রা। সিএএ-র পাশাপাশি এনআরসি ও এনপিআর নিয়েও সরব পাঞ্জাব সরকার। সিএএ ইস্যুতে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে শিরোমণি অকালি দল। বিধানসভায় অমরিন্দর সিংয়ের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে তারা। যদিও সংসদে সিএএ-র সমর্থনেই ভোট দিয়েছিল শিরোমণি অকালি দল।
আরও পড়ুন: মুকুল হলেন চাণক্য মেড ইন চায়না: বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ
দেশের তৃতীয় রাজ্য হিসাবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয় রাজস্থান বিধানসভায়। পাশাপাশি এনপিআর আপডেট করার জন্য যে তথ্যগুলি চেয়েছে কেন্দ্র তা প্রত্যাহার করার আবেদনও জানানো হয়। রাজস্থানের বিধানসভায় পাস হওয়া প্রস্তাবে স্পষ্ট বলে হয়েছে, “দেশের একটি বিরাট অংশের মধ্যে এই আশঙ্কা রয়েছে যে এনপিআর, এনআরসি-র ফলে কোনও ব্যক্তি বঞ্চিত হতে পারেন নাগরিকত্ব থেকে। যেভাবে তথ্য চাওয়া হচ্ছে সেক্ষেত্রে জনগণ যথেষ্ট অসুবিধায় পড়তে পারে। আসাম রাজ্য একটি জীবন্ত উদাহরণ।”