করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে আক্রান্তদের শরীরে এইডসের ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। ভারতে করোনা আক্রান্ত দুই ইটালিয়র শরীরে ইতিমধ্যেই লোপিনাভির ও রিটোনাভির সংমিশ্রণ প্রয়োগ করা হয়। এই সংমিশ্রণ এইচআইভির দ্বিতীয় সারির ওষুধ বলে বিবেচিত। রোগীদের অনুমতি নিয়েই এই ওষুধ প্রয়োগ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের অনুমোদনের ভিত্তিতে করোনা আক্রান্তদের শরীরে লোপিনাভির ও রিটোনাভির সংমিশ্রণ প্রয়োগ হয়েছে। জরুরিকালীন ভিত্তিতেই এই সংমিশ্রণ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। নিয়ম অনুশারে রোগীদের অনুমতির ভিত্তিতে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। যা জয়পুর করোনা আক্রান্ত দুই ইটালিয়র শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে'।
কেমন কাজ করছে এই ওষুধ? স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, 'সবেমাত্র প্রয়োগ হয়েছে। তাই এখনই বলা সম্ভব নয়। চিনে এর আগে এই ওষুধের প্রয়োগ হয়েছে। তাই এটা নতুনকিছু নয়। তবে, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। রোগীর সম্মতির ভিত্তিতেই লোপিনাভির ও রিটোনাভির সংমিশ্রণ প্রয়োগ করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের বলি মুরগি, ৩ সপ্তাহে রাজ্যে ক্ষতি ৪৫০ কোটি টাকা!
চীনা স্বাস্থ্য কমিশন করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে এইডসের ওষুধ ব্যবহার করে পরীক্ষা চালাচ্ছে । গত ২৬ জানুয়ারি ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাবভিআই এই তথ্য জানায়। এ বিষয়ে অ্যাবভিআই'র শিকাগোর মুখপাত্র অ্যাডেল ইনফ্যান্টে জানান, করোনা ভাইরাসের সংকট মোকাবিলায় চিনা স্বাস্থ্য কমিশন আলুভিয়া ওষুধটি তাদেরকে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল।
স্বস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, 'জয়পুরে ৬৯ বছরের বৃদ্ধ ও তাঁর স্ত্রীর শরীরে করোনার জীবাণি মিলেছিল। তাঁদের পৃথক ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। ক্রমশ সেরে উঠছেন দুজনেই। জ্বর প্রায় নেই। শ্বাস নিতে অক্সিজেনের ও তেমন প্রয়োজন পড়ছে না। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই ইচালিয় বৃদ্ধ দম্পতি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবেন।'
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন