৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচন। তার আগেই রাজধানী ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় একটি ট্রেনে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় কমপক্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, যাত্রীবাহী ট্রেন বেনাপোল এক্সপ্রেসের চারটি বগিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জনসাধারণকে ভয় দেখাতে এবং অবাধ ও শান্তিতে ভোট পর্বে বাঁধা দিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলেই অভিযোগ। (স্থানীয় সময়) গতকাল রাত ৯টায় এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
Advertisment
বাংলাদেশ রেলওয়ের এক কর্মকর্তার মতে, ২৯২ জন যাত্রীর অধিকাংশই ভারত থেকে দেশে ফিরছিলেন। সংবাদ সংস্থা এপি এক সিনিয়র পুলিশ অফিসারকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে নির্বাচনের আগে জনগণকে ভয় দেখানোর লক্ষ্যেই এই অগ্নিসংযোগ। যা স্পষ্টতই নাশকতার ইঙ্গিত'। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দম কলের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের অভিযোগ সামনে এনেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন দলসহ অন্যান্য বিরোধী দল। ইতিমধ্যেই তারা নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে। এদিকে একটি টেলিভিশন ভাষণে, হাসিনা জনগণকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান এবং "ভুল সংশোধনের সুযোগ" চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি, আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আবার সরকার গঠন করতে পারলে ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাব। আমাকে বাংলাদেশের জনসাধারণের সেবা করার ফের একটা সুযোগ যাতে দেওয়া হয় সেটাই আমার অনুরোধ।"
সাধারণ নির্বাচনের মাত্র দুদিন আগে ঘটনা ঘটনার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অপারেশন) মাহিদ উদ্দিন অভিযোগ করেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন ‘পরিকল্পিত হামলা’। তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনি আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না যে কে বা কারা ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করেছে,"। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।