Appointments Committee also approved the appointment: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে ছাড়তে নারাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাশ্মীর ইস্যুতে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ছিল বৃহস্পতিবার। সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর, এরপরই অজিত দোভালের পুনরায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়ার খবর সামনে আসে। এই নিয়ে তৃতীয়বার অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস দোভালকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করা হল।
দোভালের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রধান সচিব পদে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস পিকে মিশ্রকেও পুনরায় বহাল করেছেন। নিয়োগ কমিটি দুই কর্তার নিয়োগেই সম্মতি দিয়েছে। দোভালের আমলে ভারত নানাক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি আগের তুলনায় শান্ত হয়েছে। খালিস্তানপন্থী আন্দোলন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন জঙ্গি নেতারা বিদেশে অজ্ঞাতপরিচয়দের হাতে মারা গিয়েছে। যাতে ভারত আগের চেয়ে অনেকটাই বেশি নিরাপদ হয়েছে। এমনটাই মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
আর, সেই সব কারণেই দোভালকে পুনরায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হল। তবে, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী না থাকলে, অজিত দোভালকে পুনরায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করা হত কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এমনিতে কংগ্রেসের সঙ্গে দোভালের বিশেষ দূরত্ব রয়েছে। কংগ্রেস জমানায় দোভালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও উঠেছিল। একথা মাথায় রেখে অনেকেই মনে করেছিলেন, মোদী সরকারের পতন ঘটলে, দোভালও আর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাকবেন না।
কিন্তু, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছে। যদিও সেখানে বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তবে এই সরকার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সরকার। আর নরেন্দ্র মোদীই ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোও বিজেপির সাংসদরাই পেয়েছেন। এই ব্যাপারগুলো নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরই অজিত দোভালকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে পুনরায় নিয়োগ করা হল।
আরও পড়ুন- এবার দেশেও বিপাকে নেতানিয়াহু, সরকার থেকে প্রতিবাদে মন্ত্রী গ্যান্টজের পদত্যাগ
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে জম্মু-কাশ্মীরের গুরুদায়িত্ব সঁপেছেন। অতি সম্প্রতি, নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের দিনই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিরা পুণ্যার্থীদের বাসে গুলি চালিয়েছে। তাতে বহু হতাহত হয়েছেন। সেই দিন প্রধানমন্ত্রী শপথ অনুষ্ঠানে বিদেশ থেকে রাষ্ট্রনেতারা এসেছিলেন। সেখানে জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুকে তুলে ধরতে আর ভারতের সম্মান নষ্ট করতে জঙ্গিরা এই পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছিল। এমনটাই উঠে এসেছে তদন্তে। এই নাশকতার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা চান প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে তিনি জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার সঙ্গেও কথা বলেছেন। তারপরই প্রধানমন্ত্রী জম্মু-কাশ্মীরের গুরুদায়িত্ব দোভালকে সঁপেছেন।