ফের চিন্তা ধরাচ্ছে দেশের রাজধানীর বায়ুদূষণ। একটি নতুন সমীক্ষা বলছে, ভারতের আটটি প্রধান রাজ্যের রাজধানীই ইদানিংকালে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণের সংকটে পড়েছে। তার মধ্যে দিল্লিতে গত পাঁচ বছরের মধ্যে অক্টোবরে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম)-এর মাত্রা ছিল সর্বোচ্চ, ২.৫। ২০২১ সাল থেকেই দিল্লিতে এই পিএম-এর মাত্রা ২.৫। তার মধ্যেই আবার, গত বছরের তুলনায় ২০২৩ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা ৪.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে।
দিল্লিতে বায়ুর গুণমান 'গুরুতর' হয়ে যাওয়ার সাথে - রবিবার সকাল ১১টায় শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৪০০-র মাত্রা অতিক্রম করেছিল। AQI যেখানে ছিল ৪৫৭, এর ভিত্তিতে - কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (CAQM) বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
বায়ুতে পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম ২.৫ থাকা, সবচেয়ে ক্ষতিকারক বায়ুমণ্ডলের উদাহরণ। ২.৫ মাইক্রোমিটার আকারের অর্থ হল, মানুষের চুলের ব্যাসের প্রায় ৩%। এটি নাক এবং গলা দিয়ে সহজেই মানুষের সংবহনতন্ত্রে প্রবেশ করতে পারে। পিএম (কণা) ২.৫ দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হতে পারে, যেমন- হাঁপানি, হার্ট অ্যাটাক, ব্রঙ্কাইটিস এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা।
২০২১ সালের অক্টোবরে দেশের রাজধানীতে বায়ুদূষণের মাত্রা যা ছিল, পরবর্তী দুই বছরে তা প্রায় ৫৪% বেড়েছে। তার মধ্যে ২০২৩ সালের অক্টোবরে বৃদ্ধি ঘটেছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের হিসেব অনুযায়ী, ‘নিরাপদ’ সীমার প্রায় ৩.৭ গুণ। আর, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার হিসেব অনুযায়ী, নিরাপদ সীমার ৭.৫ গুণ।