অরুণাচল প্রদেশে চিনা গ্রাম নিয়ে কেন্দ্রকে রাহুল গান্ধী আক্রমণ করার পরই টুইট করে পাল্টা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তাঁর কটাক্ষ, ওই অঞ্চল কংগ্রেস জমানাতেই চিনের কব্জায় চলে গিয়েছে। অরুণাচলের সাংসদ টুইট করে লেখেন, "ওই অঞ্চল দীর্ঘদিন আগেই কংগ্রেস জমানায় চিনের কব্জায় চলে গিয়েছে। কীভাবে একজন জাতীয় নেতা স্পর্শকাতর বিষয়ে এতটা অজ্ঞাত থাকতে পারেন?"
এদিকে, সেনা সূত্রে খবর, অরুণাচলের আপার সুবানসিরি জেলায় চিন যে মডেল গ্রাম তৈরি করেছে, সেখানে ১৯৫৯ সাল থেকেই চিনের দখল রয়েছে। আগে ওই এলাকায় আসাম রাইফেলসের পোস্ট ছিল। কিন্তু ১৯৫৯ সালে চিন দখল করে নেয় ওই এলাকা। আরও জানা গিয়েছে, একইরকম পরিকাঠামো প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অঞ্চলে তৈরি করেছে চিন। পুরো বিষয়ের উপর নজর রাখছে ভারতীয় সেনা।
প্রসঙ্গত, মার্কিন সংস্থা প্ল্যানেট ল্যাবসের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অরুণাচল প্রদেশে ভারতের সীমান্তের সাড়ে চার কিলোমিটারের ভিতর চিন একটি নতুন গ্রাম তৈরি করেছে। সেখানে রয়েছে ১০১টি বাড়ি। গ্রামটি আপার সুবানসিরি জেলায় স্থিত সারি চু নদীর তীরে অবস্থিত। এটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার লাগোয়া। এই অঞ্চল থেকেই পাঁচ ভারতীয়কে গত সেপ্টেম্বরে চিনা সেনা আটক করেছিল। বিগত ১৫ মাসে এই গ্রামটি নির্মাণ করা হয়েছে। কারণ ২০১৯ সালের আগস্ট মাসেও ওই স্থানে কোনও গ্রাম ছিল না।
আরও পড়ুন অরুণাচলে চিনা গ্রাম: মোদীকে নিশানা রাহুলের
এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে জাতীয় সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত ঘটনার উপর নজর রাখা হয় ও দেশের সার্বভৌম্যত্ব বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়।
গতকালই অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এই ইস্যুতে জবাব দাবি করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। বিজেপি সাংসদ তাপির গাও-এর দাবি তুলে ধরে জবাব দাবি করেন চিদাম্বরম। তাপি অভিযোগ করেছিলেন যে, চিন অরুণাচলের মধ্যে প্রবেশ করে প্রায় ১০০ বাড়ি ও রাস্তা তৈরি করেছে। চিদাম্বরমের দাবি, বিজেপি সাংসদের দাবি যে সত্য তা উপগ্রহ চিত্রে মাধ্যমেই স্পষ্ট। কিন্তু ভারত সরকার কোনও পদক্ষেপ না করেই ফের একবার চিনকে ক্লিনশিট দিচ্ছে এবং পূর্বতন সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন