হামলাকারীদের হাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র আর গোলাবারুদ। যার দৌলতে হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুর নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য ক্রমশই দুঃস্বপ্নে পরিণত হচ্ছে। তারই মধ্যে সোমবার সেনাবাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করেও গুলি ছুটে এসেছে। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি এত ঘোরালো হয়ে উঠেছে যে দুষ্কৃতীরা নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্র লুঠের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইম্ফল পূর্বে নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন রয়েছে মণিপুর রাইফেলসের সপ্তম ব্যাটেলিয়ন। সূত্রের খবর, থানার বাইরে শতাধিক দুষ্কৃতী অস্ত্র লুঠের জন্য জড় হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তারপরও সোমবার সকালে পরমপত থানায় হামলা এবং অস্ত্র লুঠের চেষ্টা হয়েছে একই কায়দায়। দুষ্কৃতীদের কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করেছে বাহিনী।
এর পাশাপাশি চলছে অস্ত্র উদ্ধারও। পার্বত্য রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অগ্নিসংযোগ এবং গুলি চালানোর অভিযোগ এসেছে। তারই মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে বাহিনী। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, ইম্ফল পূর্ব জেলার সানসাবি, গোয়ালতাবি এবং শাবুলখোলে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করছিল। খবর পেয়ে, নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুতগতিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনায় অভিযুক্ত ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কোহিমা এবং ইম্ফলে প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করছিল। জওয়ানরা সেই সময় তাঁদের বাধা দেয়। পালটা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। শেষ পর্যন্ত চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে বাহিনীর জওয়ানরা তিনটে সিঙ্গেল ব্যারেল রাইফেল, ডবল বোরের একটি দেশি অস্ত্র, গুলিভর্তি রাইফেল এবং মুখোশ উদ্ধার করেছে।
পাশাপাশি অন্য একটি অভিযানে, রবিবার রাতে নিউ চেকন থেকে গ্রেফতার হওয়া তিনজনের থেকে ম্যাগাজিন-সহ একটি ইনসাস রাইফেল, ৬০ রাউন্ড ৫.৫৬ মিলিমিটার গুলি, একটি চাইনিজ হ্যান্ড গ্রেনেড এবং একটি ডেটোনেটর উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন- অমিত শাহের সফরের আগেই হিংসায় জ্বলে উঠলো মণিপুর, পাঁচ জনের মৃত্যু
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুসারে চলতি মাসের গোড়ার দিকে যখন প্রথম মণিপুরে নতুন করে জাতিদাঙ্গা শুরু হয়, তখন মণিপুর পুলিশ ট্রেনিং কলেজ, দুটি থানা এবং ইম্ফলের একটি আইআরবি ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প, চুরাচাঁদপুরের থানাগুলি থেকে ১,০০০-এরও বেশি অস্ত্র এবং ১০,০০০ রাউন্ড লুট করেছিল মেইটিস এবং কুকিরা।