Advertisment

ভারত-চিন উত্তেজনার মাঝেই লাদাখে ভারতীয় সেনাপ্রধান

উত্তেজনার মাঝে সেনা জওয়ানদের বিশেষ কোনও বার্তা দিতেই কি লাদাখে গেলেন সেনাপ্রধান? এম এম নারাভানের সফর ঘিরে এখন এই প্রশ্নই সামনে আসছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে

লাদাখে ভারত চিন উত্তেজনা। প্রকৃত নিযন্ত্রণ রেখা ঘিরে চিনা আগ্রাসনের অভিযোগ নয়া দিল্লির। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই ১৭০ বার ভারতীয ভূখণ্ডে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে চিনা সেনা। এর মধ্যে ১৩০ বারই লাদাখ দিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার এপারে চলে এসেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। গত বছর এই সময়কালে ১১০ বার এই ঘটনা ঘটেছিল। ফলে লাদাখে মাঝে মধ্যেই দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। এই পরিস্থিতিতে লাদাখে সেনাবাহিনীর মুখ্য কার্যালয়ে গেলেন সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে।

Advertisment

চিনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে চারটি বিভিন্ন স্থানে সামনাসামনি যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈর হয় ভারতীয় সেনার। এরপরই সেনা প্রধানের এই সফর লাদাখে। এমনিতেই গত কয়েক দিন ধরে লাদাখ ও সিকিম সীমান্তে আসল নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় ভারত ও চিন অতিরিক্ত সেনা নিয়োগের জেরে পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সেনা বাহিনীকে বিশেষ কোনও বার্তা দিতেই কি লাদাখে গেলেন সেনাপ্রধান? এম এম নারাভানের সফর ঘিরে এখন এই প্রশ্নই সামনে আসছে।

লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ। প্রায় ৩,৪৮৮ কিলোমিটারজুড়ে ভারত-চিন সীমান্ত অবস্থিত। সরকারি তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে, ২০১৫ থেকে চিনা সৈন্যরা বহুবার ভারতীয় সীমানায় প্রবেশ করেছে। এক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ প্রকৃত সীমান্ত রেখা লংঘনের ঘটনা ঘটেছে চারটি জায়গা দিয়ে। এর মধ্যে তিনটি অবস্থিত পূর্ব লাদাখে ও একটি পশ্চিম সেক্টরে। সপ্তাহ কয়েক আগেই প্যাঙ্গনের কাছেসীমান্ত সমস্যা ঘিরে ভারত-চিন সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। চিনা সেনারা তরফে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লংঘনের বেশিরভাগ ঘটনা এই অঞ্চল দিয়ে হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন- লাদাখে চিনা আগ্রাসন, চার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কড়া নজর ভারতের

এইমাসের গোড়ায এই নাকুলাতেই দু’দেশের প্রকৃত সীমান্ত ঘিরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত-চিন সেনাবাহিনী। এতে উভয় তরফের বেশ কয়েকজন জখম হন। পরে, দু'তরফের সেনা কর্তারা পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস খবর করেছিল যে, এ দেশের ভূখণ্ডের মধ্যে গালওয়ান নদীর পাদদেশে ভারত সড়ক নির্মাণ শুরু করলেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল চিন। পূর্ব লাদাখে চিনা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম বৃদ্ধি পায়।

'প্যাঙ্গনের মত গালওয়ান ভারত-চিনের বিতর্কিত অংশ নয়। প্রকৃত নিযন্ত্রণ রেখা মেনে দু'তরফই এতে সম্মত। গত দু' বছরের এখানে কোনও দরনের চিনা আগ্রাসন ঘটেনি। তবে, সড়ক নির্মাণ ঘিরে বিরোধ রযেছে, ভারত তার নিজের জায়গায় সড়ক নির্মাণ করছে। তাই এই কাজে ওদের বিরোধের কোনও যুক্তি নেই।' এক সূত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ কথা জানিয়েছে।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

India china Ladakh
Advertisment