Army Chief Lieutenant General Upendra Dwivedi: এই মুহূর্তে সীমান্ত পরিস্থিতি মোটেও স্বাভাবিক নয়। পাকিস্তান ক্রমাগত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। 'কাশ্মীরে ৮০ শতাংশের বেশি বেশি সন্ত্রাসবাদী পাঠিয়েছে পাকিস্তান' । চিনের সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বড় আপডেট দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
একদিকে বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষ চরমে। এর মাঝেই সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বড়সড় বিবৃতি দিলেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি জানিয়েছেন এই মুহূর্তে ভারতীয় সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। পাকিস্তান ক্রমাগত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। 'কাশ্মীরে ৮০ শতাংশের বেশি বেশি জঙ্গি পাঠিয়েছে পাকিস্তান' । বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর সেখানকার পরিস্থিতিও স্বাভাবিক নয়। প্রতিদিনই দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এসবের মধ্যেও সেনা প্রধান জানিয়েছেন সম্প্রতি চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। সেনাপ্রধান বলেছেন, আমাদের অগ্রাধিকার হলো সীমান্তকে আরও নিরাপদ এবং শক্তিশালী করা।
২০২৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, "গত বছর নিহত জঙ্গিদের ৬০% পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। আজকের পরিস্থিতিতে, উপত্যকা এবং জম্মু অঞ্চলে যত জঙ্গি আছে তার প্রায় ৮০% বা পাকিস্তানি। জম্মু ও কাশ্মীরের কথা বলতে গেলে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে বলেও জানিয়েছেন সেনা প্রধান। তিনি আরও বলেন, "আইবি সেক্টর থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, উত্তর কাশ্মীর এবং ডোডা-বেল্টে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত"। সেনাপ্রধান বলেন যে আমরা পুঞ্চ-রাজৌরি এলাকায় প্রচুর সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছি, তিনি বলেন যে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন পূর্ব লাদাখের ডেপসাং এবং ডেমচকের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। সেনাপ্রধান মণিপুর নিয়ে কথা বলার সময় বলেন, আমরা এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি। সেনাপ্রধান বলেন, আমার লক্ষ্য হলো পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীকে একটি স্বনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা। সাম্প্রতিক সময়ে মায়ানমার সীমান্তেও ভারত-বিরোধী ঘটনা দেখা গেছে। যার বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং বেড়া দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে।