জাতিগত হিংসার আগুনে পুড়ছে মণিপুর। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছে গ্রামের মহিলাদের বিরুদ্ধে । মহিলাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে ১২ জঙ্গিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী।
গত ৫০ দিন ধরে মণিপুরে হিংসার ঘটনা অব্যাহত। সম্প্রতি বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থাকল রাজ্য। নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে ১২ জঙ্গিকে মুক্ত করে নিয়ে যায় গ্রামের মহিলারা। নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে জানানো হয়েছে "১২ জন কেওয়াইকেএল জঙ্গিদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী, মহিলাদের নেতৃত্বে প্রায় দেড় হাজার লোক তাদের ঘিরে ফেলে এবং অভিযান ব্যর্থ করে দেয়।"
সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের মতে, "গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, দুপুর আড়াইটে নাগাদ নিরাপত্তা বাহিনী ইম্ফল পূর্বের ইথাম গ্রামে একটি অভিযান শুরু করে। অপারেশনের অংশ হিসাবে, গ্রামটিকে ঘিরে রাখা হয়েছিল, যাতে ১২ জন কেওয়াইকেএল জঙ্গি ধরা পড়ে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ। ২০১৫ ডোগরা রেজিমেন্টে বিস্ফোরণের ঘটনার যার নাম সামনে আসে সেই মইরাংথেম তাম্বা ওরফে উত্তমও ছিল ধৃতদের তালিকায়।"
সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "কিছুক্ষণের মধ্যে, মহিলা এবং স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে ১২০০-১৫০০ জনের একটি দল আমাদের সেনাদের ঘেরাও করে নিরাপত্তা বাহিনীকে এগোতে বাধা দেয়। আক্রমণাত্মক জনতাকে বারবার- বারবার আবেদন করা হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনীকে আইন অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।" "মহিলাদের আক্রমনাত্মক মানসিকতা এবং বিষয়টির সংবেদনশীলতা বিবেচনা করে, ১২ মণিপুরি জঙ্গিকে তাদের হাতে তুলে দেয় সেনাবাহিনী। তবে, নিরাপত্তা বাহিনী উদ্ধার করা বিস্ফোরক এবং অন্যান্য অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে," ।
৩রা মে থেকে মণিপুরে অব্যাহত জাতিগত হিংসা আদালত মেইতি সম্প্রদায়ের লোকদেরকে তফসিলি জাতি (এসসি/এসটি) মর্যাদা দেওয়ার পর থেকে মেইতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ১২০ জন। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুতও হয়েছেন।