Advertisment

'সব মন্ত্রীরা আমাদের সঙ্গে আছেন', অর্ণবের চ্যাট প্রকাশ্যে আসতেই দূরত্ব রাখছে বিজেপি

"আমাদের কেন সামনে আনা হচ্ছে? অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে কী চ্যাট হয়েছে তার সঙ্গে সরকার বা দলের কারও কোনও সম্পর্ক নেই।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রিপাবলিক টিভির এডিটর-ইন-চিফ অর্ণব গোস্বামী এবং ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিলের (বার্ক) প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী পার্থ দাশগুপ্তের টিআরপি মামলায় মুম্বাই পুলিশ আদালতে জমা দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিয়ে বিতর্ক বাড়ল। অর্ণবের চ্যাট প্রকাশ্যে আসতেই সাংবাদিকের সঙ্গে বিজেপি এবং কেন্দ্র প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছে। কংগ্রেস যখন জেপিসি তদন্তের আহ্বান জানায় এবং গোস্বামীর সরকারের সঙ্গে নৈকট্যের দাবি তোলা হয়, এরপরই সাংসদরা দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করে।

Advertisment

কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (সিডব্লিউসি) শুক্রবার "জাতীয় সুরক্ষা লঙ্ঘন, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘন এবং জড়িত ব্যক্তিদের ভূমিকার" বিষয়ে 'তদন্ত' দাবি করেছে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী সরকারের এমন নীরবতার সমালোচনা করে বলেছেন, "যারা অন্যকে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের সার্টিফিকেট দেয় তাঁদের কাজ এখন পুরোপুরি সামনে চলে এসেছে।"

যদিও এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "আমাদের কেন সামনে আনা হচ্ছে? অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে কী চ্যাট হয়েছে তার সঙ্গে সরকার বা দলের কারও কোনও সম্পর্ক নেই। এখন পর্যন্ত, কোনও অন্যায় কাজ নেই, প্রমাণ করার মতো কিছুই নেই যে কোনও দলের নেতার এর সঙ্গে কিছু আছে।" যদিও যে চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে অর্ণব জানিয়েছেন, 'সব মন্ত্রীরা আমাদের সঙ্গে আছেন'। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দল ও সরকারের বেশ কয়েকজন নেতা পুলওয়ামার হামলার প্রতিশোধ নিতে সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি করেছিলেন এই তথ্যও প্রকাশ্যে আসে রিপাবলিক প্রধানের চ্যাট থেকে।

কমপক্ষে ছয় বিজেপি নেতা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলেন। এর মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ অনেকেই। তাঁদের অনেকেই স্বীকার করেছেন যে এই বিতর্ক তাদের এক জায়গায় নিয়ে এসে ফেলেছে। যদিও অমিত শাহ, প্রকাশ জাভেদকড়, এস এ জয়শঙ্কর, পীযূষ গোয়েল, স্মৃতি ইরানি এবং বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা এই ঘটনাকে 'ফ্রি প্রেস'- ঘটনার মধ্যে ফেলেছেন।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp Arnab Goswami
Advertisment