Advertisment

চন্দ্রবাবু নাইডুর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা, বিক্ষোভে টিডিপি

মহারাষ্ট্রের ওই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সালের জুলাই মাসের একটি মামলায় অন্ধ্রের মুখ্য়মন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুসহ ১৪ জনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্য়ে আদালতে পেশ করতে হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Chandrababu Naidu, চন্দ্রবাবু নাইডু

চন্দ্রবাবু নাইডু। ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

বেজায় অস্বস্তিতে পড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। মুখ্য়মন্ত্রীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলার ধর্মাবাদ এলাকার একটি আদালত। আর এর জেরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তেলেগু দেশম পার্টি সমর্থকরা। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানাজুড়ে বিক্ষোভে সরব তেলেগু দেশম পার্টি সমর্থকরা। মহারাষ্ট্রের ওই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সালের জুলাই মাসের একটি মামলায় অন্ধ্রের মুখ্য়মন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুসহ ১৪ জনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্য়ে আদালতে পেশ করতে হবে।

Advertisment

২০১০ সালের ১৮ জুলাই নান্দেদ জেলায় বাবলি ব্য়ারাজে জলাধারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তেলেঙ্গানা থেকে মহারাষ্ট্র যায় চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন টিডিপি নেতাদের একটি দল। এ ঘটনা ঘিরেই ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা বলে জানা গিয়েছে।

অন্য়দিকে সে রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার পিছনে বিজেপির চক্রান্তই দেখছে টিডিপি। এ প্রসঙ্গে তেলেঙ্গানার টিডিপি প্রেসিডেন্ট এল রমন বলেন, ''টিডিপিকে ভয় দেখানোর জন্য় এটা বিজেপির ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়।'' তিনি আরও বলেন যে, তেলেঙ্গানায় টিডিপি যে জোট গড়ছে, তাতে ভীত বিজেপি। তাই যে গ্রেফতারি পরোয়ানার দিন পেরিয়ে গিয়েছে, সেটাই নতুন করে জারি করা হয়েছে দলকে চাপে রাখার জন্য়।

আরও পড়ুন, বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা মামলা: ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

এ প্রসঙ্গে চন্দ্রবাবু নাইডুর ছেলে তথা রাজ্য়ের তথ্য় প্রযুক্তি মন্ত্রী এন লোকেশ বলেন যে, তাঁর বাবা ও টিডিপি নেতারা আদালতে হাজিরা দেবেন। তিনি বলেন, ''তেলেঙ্গানার স্বার্থে উনি লড়াই করেছিলেন। উনি যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন তখন জামিন নিতেও অস্বীকার করেছিলেন।''

রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রসঙ্গে আরেক টিডিপি নেতা বি ভেঙ্কানা বলেন, ''এটা বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অমিথ শাহের প্রতিশোধের রাজনীতি।''

চলতি বছরের ৫ জুলাই ধর্মাবাদের আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, যা কার্যকর করার কথা ছিল ১৬ অগাস্ট। কিন্তু গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন নান্দেদ এলাকার বাসিন্দারা। তারই প্রেক্ষিতে নতুন করে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা বলে জানা গিয়েছে। অন্ধ্রের মুখ্য়মন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ছাড়াও সে রাজ্য়ের জলসম্পদ মন্ত্রী দেবিনিনি উমামহেশ্বর রাও, সমাজকল্য়াণ মন্ত্রী এন আনন্দ বাবু ও প্রাক্তন বিধায়ক জি কমলাকর এই মামলায় অভিযুক্ত।

national news Chandrababu Naidu
Advertisment