এক দলিত কিশোরকে লাঞ্ছনা এবং অপমানের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে আট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হল। গত ১০ এপ্রিলের ঘটনার একটি রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওয় নির্যাতিত দলিত কিশোরকে দেখা গিয়েছে এক অভিযুক্তের পা চাটতে। রায়বরেলির ওই কিশোরের অভিযোগ, তাকে একাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই কিশোরের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিত কিশোর দশম শ্রেণির ছাত্র।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ওই কিশোর জানিয়েছে, অভিযুক্তদের একজন তাঁর বাড়িতে এসেছিল। বাড়ি থেকে ডেকে তাঁকে এক জায়গায় অভিযুক্ত নিয়ে যায়। সেখানে আরও সাত জন ছিল। তাদের কাউকেই সে চেনে না। সেখানে ওই আট জন মিলে তাঁকে অপমান এবং মারধর করে। নির্যাতিতর অভিযোগ, সে কাউকে চেনে না। কেন তারা তাকে মারধর করছে, তা-ও জানে না।
মারধরের পর আট অভিযুক্ত তাকে ওই স্থানে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে, স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন এসে তাকে উদ্ধার করে বলেই নির্যাতিত কিশোর জানিয়েছে। লোকাল থানার পুলিশ আধিকারিক হরিকে সিং জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আট অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে কয়েকজন আবার নাবালক। আইন অনুযায়ী ধৃতদের বিরুদ্ধে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের দাবি, ওই ছেলেদের নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মারধর এবং এসসি-এসটি আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয়, নির্যাতিতর জাতপাত নিয়ে অভিযুক্তদের কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- সাম্প্রদায়িক হিংসা, ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে ১ কোটি টাকার ত্রাণ-প্যাকেজ রাজ্যের
দশম শ্রেণির ওই ছাত্রকে পা চাটানোর পাশাপাশি, বেল্ট দিয়েও মারধর করেছে অভিযুক্ত আট জন। যার জেরে আক্রান্ত কিশোরের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। তাঁকে সরকারি হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ডাক্তারকে দিয়ে দেখানোর পর তাঁকে বাড়ি নিয়ে এসেছেন অভিভাবকরা। সেই মেডিক্যাল রিপোর্টও এই মামলায় সাক্ষ্য হিসেবে পেশ করা হবে বলেই পুলিশকর্মীরা জানিয়েছেন।
Read story in English