জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার নিয়ে উত্তাল দেশ। সোমবার রাজ্যসভায় বিল পাসের পর মঙ্গলবার সকালে লোকসভায় জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল ২০১৯ পেশ করল মোদী সরকার। জম্মু-কাশ্মীরকে দু’ভাগ করে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ জোড়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছে। যার মধ্যে জম্মু-কাশ্মীররে বিধানসভা থাকবে। কিন্তু লাদাখে বিধানসভা থাকবে না। এদিন জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পেশ করতে গিয়ে বাগযুদ্ধে জড়াল কংগ্রেস-বিজেপি।
আরও পড়ুন: অমিত শাহর মাস্টারস্ট্রোক, ৩৭০ ধারা রদ করে ‘মিশন সফল’ মোদীর সেনাপতির
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘ভারতের ইতিহাসে এটা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আজ আমরা যা আলোচনা করছি, তা আগামী প্রজন্মের জন্য ভাল হবে...জম্মু-কাশ্মীরে আইন তৈরির ক্ষমতা রয়েছে সংসদের’’। অমিত শাহ আরও বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর যে চিরকাল ভারতেরই থাকবে, তা নিশ্চিত করবে এই বিল’’। অমিত শাহের পাল্টা কংগ্রেস নেতা মনীশ তিওয়ারি বলেন, ‘‘সংবিধানের ৩ নং ধারায় উল্লেখ করা রয়েছে যে, কোনও রাজ্যের পুনর্বিন্যাস করতে গেলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভায় আলোচনা করতে হবে। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে তা কি হয়েছে?’’। মনীশের পাল্টা বিজেপির তরফে তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ ভাগের প্রসঙ্গ তোলা হয়। এ প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সংসদে এর রেকর্ড রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে সংবিধানকে ভুল ব্যাখ্যা করেছেন আপনারা’’।
আরও পড়ুন: বাতিল ৩৭০ ধারা, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল
অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে এখনও মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। গৃহবন্দি হওয়ার পর সোমবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নর্দার্ন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট জেনারেল রনবীর সিংয়ের সঙ্গে কাশ্মীরে নিরাপত্তা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। পাশাপাশি সব রাজ্যে থাকা জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Read the full story in English