হেমন্ত পড়তে না পড়তেই দূষণের পারদ চড়তে শুরু করেছে রাজধানীতে। দিল্লির বাতাসকে পরিশুদ্ধ করতে নানা পদক্ষেপ করছে কর্তৃপক্ষ। বাতাসে বিষাক্ত কণার পরিমাণ কমাতে কৃত্রিম বৃষ্টির কথা ভাবছে সে রাজ্যের সরকার। আপাতত ব্যবস্থা চলছে কৃত্রিম মেঘ তৈরির।
বিগত তিন সপ্তাহে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতম হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আবহাওয়া কিছুটা স্থিতিশীল হলে ক্লাউড সিডিং-এর ব্যবস্থা করা হবে। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে এ সপ্তাহেই কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানো হবে। সম্ভব না হলে আগামী সপ্তাহে ফের চেষ্টা করা হবে।
বাতাসে ভাসমান মেঘের সঙ্গে ড্রাই আইস, সিলভার আয়োডাইড আর খাদ্য লবণ মিশিয়ে ক্লাউড সিডিং করা হয়। এই সমস্ত রাসায়নিক মিশে যা তৈরি হয়, তা থেকে বৃষ্টিপাত ঘটনার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রাজধানীর আবহাওয়া দফতরের কর্মীরা তৎপর রয়েছেন, কৃত্রিম বৃষ্টি ঘটানোর অনুকূল পরিস্থিতি এলেই কাজ শুরু করবেন তারা।
আর্দ্রতা এবং মৃদু গতিতে বাতাস বয়ার কারণে মঙ্গলবার রাজধানীর বায়ুর গুণগত মান ছিল 'অত্যন্ত খারাপ'। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী দিল্লির সার্বিক বায়ু মান সূচক ৩৫২, যা কিনা একেবারে তলানির দিকেই।
২০১৬ থেকেই দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্লাউড সিডিং-এর ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করেছে দিল্লি সরকার। যদিও এতদিন কার্যকর হয়নি তা।
গত বছর দিল্লির ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণের মাত্রা কমাতে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের কাছে হেলিকপ্টার থেকে দিল্লিতে জল ফেলার প্রস্তাব রেখেছিল রাজ্য সরকার।
Read the full story in English