Arun Goel quits as EC: লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার মুখে পদত্যাগ করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। তিনি ২০২২ সালের নভেম্বরে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। তার পরে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পান। তার আগে গোয়েল ৩৭ বছর আইএএস অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প সচিবের দায়িত্বেও ছিলেন। সরকার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু গোয়েলের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
গোয়েলে এমন একটা সময়ে পদত্যাগ করলেন, যখন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করছে। সারা দেশে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক করে কয়েক দিনের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার মধ্যে আবার শুক্রবারই নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনের আগে ভারতজুড়ে নিরাপত্তা কর্মীদের মোতায়েন এবং চলাফেরা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং রেলওয়ের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
গোয়েলের পদত্যাগের জেরে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনে কেবলমাত্র প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) রাজীব কুমারই অবশিষ্ট থাকলেন। কারণ, অপর নির্বাচন কমিশনার অনুপচন্দ্র পাণ্ডে গত মাসেই অবসর নিয়েছেন। নির্বাচনী সংস্থায় যোগদানের আগে গোয়েল ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে (আইএএস) ৩৭ বছর কাজ করেছেন। ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর, তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। সেই সময় তিনি কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রকের সচিব ছিলেন। সেই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। গোয়েলের স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার একদিন পরে, ১৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে ইসি বা নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ করেন। গোয়েল ২১ নভেম্বর সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
কিন্তু, তাঁর নিয়োগকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) নামে একটি স্বাধীন নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ সংস্থা। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি তার আবেদনে অভিযোগ করেছে যে গোয়েলের নিয়োগ, 'স্বেচ্ছাচারী এবং প্রাতিষ্ঠানিক অখণ্ডতা এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার লঙ্ঘন'। নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ পদ্ধতি সংক্রান্ত পিটিশনের শুনানি করার সময় তার নিয়োগ হয়েছে।
আরও পড়ুন- তহবিল ‘ছিনতাই’! এবার বিপাকে সলমন, কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে খুরশিদ ভাইয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
৩ মার্চ এক যুগান্তকারী রায়ে, আদালত বলেছে যে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা বা লোকসভার একক বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা এবং প্রধান বিচারপতির একটি কমিটি দ্বারা নির্বাচিত হবে। ভারতের সংসদ যতক্ষণ না এ বিষয়ে একটি আইন প্রণয়ন করে, ততক্ষণ এমনটাই চলবে। এডিআর, তার পিটিশনে যুক্তি দিয়েছিল যে, গোয়েলকে নিযুক্ত করা প্যানেলটি অস্বচ্ছ আচরণ করেছে। অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে গোয়েলকে নির্বাচিত করা হয়েছে। আর, তারপরই এল এই পদত্যাগ।