অগ্নিগর্ভ দিল্লিতে সেনা নামানোর পক্ষে সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যেই দিল্লি হিংসায় নিহতের সংখ্যা বেড় হয়েছে ২৩। বুধবার কেজরিওয়াল টুইটে লেখেন, 'রাতভর বহু মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। সব চেষ্টা সত্ত্বেও, পুলিশ এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। এবার সেনা নামানো উচিত। ক্ষতিগ্রস্ত সব জায়গায় অবিলম্বে কার্ফু জারি করা দরকার।'
এই দাবি চিঠি লিখে তিনি স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন কেজরিওয়াল।
এর আগেও দিল্লিতে সেনা নামানোর পক্ষে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে পর্যাপ্ত পুলিশ দেওয়া হবে। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই আশ্বাস মেলের পরই দিল্লিতে সেনা মোতায়েনের দাবি থেকে সরে এসেছিলেন কেজরি। দাবি করেন হিংসা রুখতে দিল্লির সীমানা সিল করার
আরও পড়ুন: দিল্লির হিংসা ঠেকাতে কেজরিওয়ালের সরকার কী করতে পারে, কী পারে না?
গত শনিবার সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দিল্লির বুকে যে হিংসার উৎপত্তি তাঁর রেশ বুধবারও রয়েছে। হিংসায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০। জখম প্রায় ২৫০। আদালতের নির্দেশের উপর ভরসা না করে পুলিশকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসায় নিহত ২৩, পুলিশকে অবিলম্বে পদক্ষেপের নির্দেশ আদালতের
নজিরবিহীনভাবে মঙ্গলবার রাত পৌনে দুটো পর্যন্ত দিল্লি হিংসা নিয়ে মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। বিচারপতি এস মুরলিধরের বাড়িতেই চলেশুনানি। দিল্লি পুলিশকে বিচারপতি এস মুরলিধর ও বিচারপতি এ জে ভমম্বানী বেঞ্চের নির্দেশ, অবিলম্বে মুস্তাফাবাদের ছোট হাসপাতাল থেকে দিল্লি হিংসায় জখমদের বড় হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
দিল্লি হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল মধ্যরাতেই ঘুরে দেখেন রাজধানীর পরিস্থিতি। বৈঠক করেন দিল্লি পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে। সাক্ষাৎ করেন উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট বৈঠকে দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে রিুপোর্ট জমা দেবেন অজিত দোভাল। মৃতের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গলবারই উত্তর-পূর্ব দিল্লির কিছু এলাকায় জারি করা হয়- দেখামাত্র গুলি করার বা ‘শুট অ্যাট সাইট’-এর নির্দেশ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন