অশান্ত দিল্লি। সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তর পূর্ব দিল্লিতে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। সোমবারের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭। এই পরিস্থিতে, দিল্লিবাসীর কাছে শান্তির আর্জি করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাজধানীর পরিস্থিতি নিয়ে সোমবারই দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েকের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অজয় ভাল্লা সহ অন্যন্যরাও। দিল্লি পরিস্তিতি নিয়ে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল ও দিল্লির উপরাজ্যপাল। এই বৈঠকেই দিল্লির সীমানা সিলের দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালও এদিন অশান্ত এলাকার বিধায়ক ও অন্যান্য সরকারি কর্তাদের জরুরি বৈঠকে ডেকেছেন। তিনি টুইট করে বলেন, “দিল্লির কয়েকটি অঞ্চলে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেজন্য আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। শহরে শান্তি ফেরানোর জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত। আমি সকলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, হিংসা বর্জন করুন।”
Am v worried abt prevailing situation in certain parts of Del. All of us together shud make all efforts to restore peace in our city. I again urge everyone to shun violence
Am meeting all MLAs (of all parties) of affected areas along wid senior officials in a while
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) February 25, 2020
সোমবারের অশান্তি গড়িয়েছে মঙ্গলবারও। এদিন সকাল থেকেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্ব দিল্লি। নাগরিকত্ব আইনের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুড়ির খবর মিলেছে। কয়েকটি গাড়ি ও দোকানেও আগুন লাগানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতার হুমকির পরদিনই দিল্লি হিংসা!
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের প্রথম দিনে পাথরবৃষ্টি থেকে গুলি, দোকানে-বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সাক্ষী থাকে রাজধানী দিল্লি। সিএএ-বিরোধী আন্দোলন ঘিরে অশান্তি। আর তাকে কেন্দ্র করেই দিল্লিতে সাত জন প্রাণ হারিয়েছেন। মৌজপুরে পাথরের আঘাতে পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লাল নিহত হন।
গত রবিবার থেকেই জাফরাবাদে সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল। উত্তেজনা ছড়াতেই স্থানীয় মেট্রো স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিন ফের হিংসার আশঙ্কায় জাফরাবাদ, মৌজপুর-বাবরপুর, গোকুলপুরী, জোহরি এনক্লেভ এবং শিববিহার মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন