আরিয়ান খান মাদক মামলায় প্রত্যক্ষদর্শীর আচমকা মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে মহারাষ্ট্র পুলিশ। প্রভাকর সইল নামে বছর ৩৬-এর ওই যুবক শুক্রবার বিকেলে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঘটনাটা আদৌ হৃদরোগ নাকি অন্যকিছু তদন্ত করে দেখতে চায় মহারাষ্ট্র সরকার। এই জন্য পুলিশ অধিকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে পাতিল। এই মাদক মামলায় শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান-সহ আরও ১৯ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কর্ডেলিয়া নামের বিলাসবহুল জাহাজ থেকে তাদের আটক করা হয়েছিল বলেই দাবি করেছিল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি।
এই মাদক-কাণ্ড ফাঁসের কয়েক সপ্তাহ পরে প্রত্যক্ষদর্শী প্রভাকর সইল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে ঘুষ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন অপর প্রত্যক্ষদর্শী কেপি গোসাভি। গ্রেফতারির রাতে আরিয়ানকে সাহায্য করার বিনিময়ে তাঁকে ঘুষ দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছিল গোসাভি। রীতিমতো শপথ নিয়ে দেওয়া হলফনামায় এমনটা জানিয়েছিলেন প্রভাকর সইল।
সম্প্রতি, বিশেষ তদন্তকারী দল আরিয়ানের মাদক পাচার-কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে। সইলের বয়ানের ভিত্তিতেই তদন্ত চলছে। কারণ, মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর বাকি পাঁচ সাক্ষী ইতিমধ্যে এই মামলায় বিরুদ্ধ সাক্ষী হয়ে গিয়েছে। তবে, মহারাষ্ট্র পুলিশ তদন্তের নির্দেশ দিলেও মৃত সইলের আইনজীবী তুষার খান্ডারে জানিয়েছেন, পরিবারের লোকজন অস্বাভাবিক কিছু সন্দেহ করছেন না। হৃদরোগেই প্রভাকর সইলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন বেকার ছিলেন। সেই কারণে মানসিক চাপের মধ্যেও ছিলেন।
শুধু আইনজীবীই নন। সইলের স্ত্রী পূজা ও মা হিরাবতীও জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত প্রভাকর সইল স্বাভাবিকই ছিলেন। এটা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বলেই তাঁদেরও ধারণা। এই ঘটনায় অন্যরকম কিছু তাঁরাও আশঙ্কা করছেন না। মুম্বইয়ের পূর্ব শহরতলির মহুল এলাকায় মা-বাবা, স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন প্রভাকর সইল। তবে, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, অনেকে এই মৃত্যুর ঘটনায় অন্যরকম সন্দেহ করছেন। আচমকা কী কারণে এই স্বাস্থ্যবান এবং শক্তসমর্থ যুবকের মৃত্যু হল, সেটা জানা দরকার। সেই কারণেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Read story in English