/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/NRC-759.jpg)
আসামের নাগরিক পঞ্জি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল ৪০ লক্ষ আবেদনকারীর নাম। এদের মধ্যে ৩০ লক্ষ আবেদনকারী নাগরিক পঞ্জিতে তাদের নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি জানাল। সোমবার, বছরের শেষ দিন ছিল আবেদনের শেষ দিন।
সূত্রের খবর বলছে, মঙ্গলবারের মধ্যেই চূড়ান্ত খসড়া তৈরি হয়ে যাবে। গত ৩০ জুলাই খসড়া এন আর সি-র খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। ৩.২৯ কোটি আবেদনের মধ্যে ২.৯ কোটি নাম ওই খসড়ায় উঠেছিল। ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে তোলপাড় হয় ভারতীয় রাজনীতি।
সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এনআরসি প্রক্রিয়া চলছে। মূলত বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার জন্যই এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
আসামের নাগরিক পঞ্জিতে নাম নথিভুক্তির আবেদনের জন্য ৩১ ডিসেম্বর আবেদনের শেষ দিন ধার্য করেছিল শীর্ষ আদালত। আবেদন যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে।
আরও পড়ুন, আসাম এনআরসি আপডেটের সময়সীমা বাড়ল
যে ১০ লক্ষ মানুষ আবেদন করলেন না, তাঁদের কথা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে আধিকারিকদের জিজ্ঞাসা করা হলে এক আধিকারিক বলেন, "ওনারা প্রকৃত নাগরিক ছিলেন না"।
নাগরিক অধিকার সংগঠনের প্রধান এবি খান্দেকার জানিয়েছেন, নাগরিক পঞ্জিতে নাম নথিভুক্ত করানোর জন্য কতজন আবেদন করেছেন, তা এখনই জানা সম্ভব না। তিনি বলেন, "কিছু কারণে প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদেরও নাম নথিভুক্ত করাতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে"।
প্রসঙ্গত, আসামের এনআরসি আপডেটের সময়সীমা দিন দুয়েক আগেই ৬ মাস বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। নয়া সময়সীমা ৩০ জুন, ২০১৯। ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের তরফ থেকে এক নোটিফিকেশনে জানানো হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮-র মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।
"যারা এনআরসি তে নাম নথিভুক্তির আবেদন করেনি, তাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশিত হবে না, ঠিকই। কিন্তু তার মানে এই নয়, তাঁদেরকে এখনই রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে। রাজ্যের ফরেনার্স ট্রাইবুনালে নিজেদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের সুযোগ পাবেন তাঁরা", জানালেন গুয়াহাটির আইনজীবী আমন ওয়াদুদ।
Read the full story in English