২১ শে ফেব্রুয়ারি থেকে গোয়ায় খুলে যাচ্ছে স্কুল। করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমার সঙ্গে সঙ্গে দেশের অন্যান্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই খুলেছে স্কুল কলেজ সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এবার সেই একই পথে হাঁটল গোয়া। ইতিমধ্যেই গোয়ায় ১০০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে টিকাদানে কাজ সম্পুর্ণ হয়েছে। এদিন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত ঘোষণা করেন, “আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেনির সকল পড়ুয়ার জন্য খুলছে স্কুল। প্রায় ২ বছর পর স্কুল খোলার খবরে উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারাও।
সাওয়ান্ত এদিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন .শিক্ষা দফতর স্কুলগুলি পুনরায় খোলার পদ্ধতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তবে রাজ্য সরকার শিশুদের স্কুলে ফিরে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যে এটির সুপারিশ করেছে এবং বর্তমানে, কোভিড পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এমনকি জাতীয় নির্দেশিকাগুলি স্কুল খোলার জন্য এবং কিছু রাজ্য ইতিমধ্যে এটি শুরু করেছে। এই সমস্ত কিছু বিবেচনা করে রাজ্যে, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,” তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতেও অফলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার গোয়ায় স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে তারা ১০০ শতাংশ যোগ্য জনসংখ্যাকেই কোভিড টিকার দুটি ডোজ দিয়েছেন। টিকাদান কাজ সম্পন্ন হওয়ায় গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টিকাদান কর্মসূচীর সঙ্গে যুক্ত সকলকে। একটি টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, “গোয়ায় ১৮ বছরের ওপরে সকলেই টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন। লক্ষ্যমাত্রা সম্পূর্ণ করার জন্য DHS গোয়া এবং GMC টিমকে শুভেচ্ছা”। কোভিড টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য ডঃ ইরা আলমেদা বলেছেন “আমরা গোয়ার সমস্ত লোকের ১০০ শতাংশ টিকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করেছি। আমাদের জনসংখ্যা হিসাবে ১১.৬৬ লক্ষ লক্ষ্য ছিল এবং আজ পর্যন্ত, আমরা ১০০ শতাংশ পূরণ করেছি। আমরা এখন আমাদের রুটিন টিকাদান কর্মসূচিতে কোভিড টিকাদান কর্মসূচিকে একীভূত করব। তবে, সোয়াবিং এবং পরীক্ষা সব দিন চলবে। কোভিড টিকাদান কেন্দ্রগুলি এখন আপাতত বন্ধ থাকবে তবে আমাদের রুটিন ইমিউনাইজেশন কেন্দ্রের মাধ্যমে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। রাজ্যপাল পি এস শ্রীধরন পিল্লাই বৃহস্পতিবার বলেছেন ‘যোগ্য জনসংখ্যার ১০০ শতাংশ ব্যক্তিকে টিকাদান, নজির গড়ল গোয়া’।
আরো পড়ুন: লং কোভিডে শিশুদের ঝুঁকি কতটা, স্কুলে-টিউশনে যে বিষয়গুলি মানা জরুরি, জেনে নিন
রাজ্যে টিকার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ডাঃ রাজেন্দ্র বোরকার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্যকে যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে তার ১০০ শতাংশ টিকা দানের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে কিছু সংখ্যক মানুষ যারা বাইরে গেছেন অথবা বাইরে থেকে এসেছেন তারা টিকা নিতে আসবেন সেজন্য আমাদের সরকারের তরফে রুটিন ইমিউনাইজেশন কেন্দ্রের মাধ্যমে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে,” সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন যারা এখনও টিকা নেননি তাঁরা এসে টিকা নিন। রাজ্যের হাতে এখনও পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১৮ জন। মোট অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা ১,৬০৮। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২.৪৪ লক্ষ। এবং করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩,৭৮২ জন।
Read full story in English