দেশের ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড সংক্রমণ ও পজিটিভিটি রেট নিম্নমুখী। যা ওমিক্রন পুষ্ট করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের পশ্চাদপসরণের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
মন্ত্রকের তথ্যনাসারে, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি দেশের ৪০৬ জেলায় কোভিডের পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের উপর ছিল। তুলনায় ২রা ফেব্রুয়ারি ২৯৭টি জেলায় করোনা সংক্রমণ হার (পজিটিভিটি রেট) ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে।
সপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লভ আগারওয়াল বলেছিলেন যে, এ পর্যায়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি ছিল ২১ জানুয়ারি। ওই দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ। গত বছর, দ্বীতিয় তরঙ্গের সময় ৭ মে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ১৪ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমিতের হার কমে হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার। উল্লেখযোগ্য যে, গত ১২ দিনে সক্রিয় রোগীরসংখ্যাও নিম্নমুখী। পশাপাশি, পজিটিভিটি রেটও ২০.৭৫ (২৪ জানুয়ারি) শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১০.৯৯ শতাংশ, অঙ্কের হিসাবে যা প্রায় অর্ধেক।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দেশের ৮টি রাজ্য কোভিড অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। ১২টি রাজ্য ১০-৫০ হাজারের মধ্যে রয়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। ১৬টি রাজ্য ১০ হাজারের কম সক্রিয় রোগী রয়েছে।
তবে কেরল ও মিজোরামে দৈনিক সংক্রমণ ও সক্রিয় রোগীর হার এখনও ঊর্ধ্বমুখী। কেরলে একমাস আগে পজিটিভইরেট ছিল ১৩.৩ শতাংশ। বর্তমানে সেই হার পৌঁছেছে ৪৭ শতাংশে। মিজোরামে ১৭ শতাংশ থেকে পজিটিভিটি রেট হয়েছে ৩৪.১ শতাংশ।
যেসব রাজ্যে করোনার পজিটিভি রেট ৫ শতাংশের কম সেইসব রাজ্যে স্কুল, কলেজ পুনরায় খোলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকেই।
নীতি আয়োগের সদস্য ডাঃ ভিকে পাল বলেছেন, '২৬৮টি জেলায় পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশের নীচে এবং স্পষ্টতই এই জেলাগুলি এখন নন কোভিড কেয়ারের দিক নির্দেশ করছে। এইসব জেলায় স্কুল খোলার পাশাপাশি অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও যেতে পারে। মহামারির ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা আমাদের সেই বিকল্পগুলি সম্পর্কে চিন্তা করার অনুমতি দিচ্ছে।'
লভ আহারওয়ালের কথায়, '১১টি রাজ্যে স্কুল সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে চালু হয়েছে। ১৬টি রাজ্যে আংশিকভাবে হয়েছে। এগুলিতে মূলত স্কুলের উচ্চ শ্রেণিতে (নবম, দশম, একাশ ও দ্বাদশ) অফলাইনে পঠন-পাঠন চলছে। ৯ রাজ্যে স্কুল পুরোপুরি বন্ধ। দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের ৯৫ শতাংশের বেশির ইতিমধ্যেই টিকাকরণ হয়েছে। কয়েকটি জেলায় এৎ হার ১০০ শতাংশ। কেন্দ্র নির্ধারিত প্রটোকল মেনে চলার জন্য রাজ্যগুলিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।'
Read in English