কোভিডের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই সবার চিন্তা বাড়িয়েছে হরিদ্বারের মহাকুম্ভ। কুম্ভমেলায় একের পর এক সাধু-সন্তরা সংক্রমিত হচ্ছেন। কোভিড বিধিও মানা হচ্ছে না ঠিকঠাক। পরপর দুটি শাহী স্নানে ভিড় হয়েছে ৩৫ লক্ষ পুণ্যার্থীর। করোনা সংক্রমণের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে হর কি পৌরি ঘাট। এই অবস্থায় ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফের জেরে কুম্ভমেলা থেকে প্রস্থান করল নিরঞ্জনী আখড়া। সেইসঙ্গে সাধু-সন্তদেরও মেলা ছাড়ার আবেদন করেছে এই আখড়া।
জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ এপ্রিল পরবর্তী শাহী স্নানে অংশ নেবে না নিরঞ্জনী আখড়া। আখড়ার সভাপতি রবীন্দ্র পুরী দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, মাত্র ১০-১২ জন সাধু পরবর্তী শাহী স্নানে অংশ নেবেন। বাকি কাউকে গঙ্গায় পুণ্যস্নান এবং পরিক্রমার অনুমতি দেওয়া হবে না। কারণ, শারীরিক দুরত্ব বিধি না মানায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে কুম্ভমেলায়। আর শাহী স্নানের সময় কোভিড বিধি পালন একপ্রকার অসম্ভব। তাই এই সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেছেন, "আমি বিভিন্ন রাজ্য-জেলা থেকে আগত সমস্ত সাধুদের আবেদন করছি, আপনারা আখড়া চত্বর ছেড়ে নিজেদের সুবিধা মতো মেলাপ্রাঙ্গণ ত্যাগ করুন। নতুন করে কোনও পুণ্যার্থী, সন্তদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।" নিজের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা হিসাবে পুরী বলেছেন, "অন্তত পাঁচজন নিরঞ্জনী আখড়ার সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আরও অনেকের টেস্ট রিপোর্ট আসা বাকি। যাঁরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, তাঁদেরই আখড়ায় থাকতে দেওয়া হবে। বর্তমানে ৩০০ জন সাধু ও এবং তাঁদের ভক্তরা আখড়ায় রয়েছেন।"
পুরী বলেছেন, "আমি চাই না কেউ মারা যাক। হরিদ্বারে পরিস্থিতি উদ্বেগের। শারীরিক দুরত্ব শাহী স্নানের সময় সম্ভব নয়। এছাড়াও অনেকে কুম্ভের সঙ্গে নিজামউদ্দিন মারকাজের তুলনা টানছেন। যা দুর্ভাগ্যজনক। কুম্ভের বদনাম হচ্ছে এতে।" ইতিমধ্যেই গত ১২ এপ্রিল আখড়ার প্রবীণ সাধু তথা অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি নরেন্দ্র গিরি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঋষিকেশের এইমসে ভর্তি। তাই আর ঝুঁকি নিতে চায় না আখড়া।