করোনার কারণে মার খেয়েছে পরিবহন ব্যবসা। বিপন্ন দেশের অর্থনীতি। এমন অবস্থায় নিজের বাস প্রতিকেজি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করলেন কেরলের এক বাস মালিক। কন্ট্রাক্ট ক্যারেজ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য (সিসিওএ) অনুসারে, করোনার কারণে রাজ্যে মোট ট্যুরিস্ট বাসের সংখ্যা ১৪ হাজার থেকে থেকে ১২ হাজারে নেমে এসেছে।
অর্থাৎ ২ হাজার বাস মালিক তাদের বাস তুলে নিয়ে বিক্রি করেছেন জলের দরে। এমনই একজন রয়সন জোসেফ, রয় ট্যুরিজমের মালিক। তিনি জানিয়েছেন করোনার কারণে ব্যবসা প্রচন্ড ভাবে মার খেয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তিনি গত ১৮ মাসে তাঁর ১০টি বাস বিক্রি করে দিয়েছেন। আগে তাঁর ২০টি বাস ছিল। কেজি দরে তিনি বাস বিক্রি করেছেন। লকডাউন, করোনা এসবের কারণে তাঁর বর্তমান বাসের সংখ্যা ১০ এ নেমে এসেছে। তিনি বলেন, করোনা প্রচন্ড ভাবে পরিবহন ব্যবসার ওপর আঘাত হেনেছে।
তাঁর কথায়, " এই সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে, মাত্র তিনটি বাস মুন্নারের উদ্দেশ্যে গিয়েছিল। সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে, মুন্নারে প্রচণ্ড যানজট থাকে। এখন সে অবস্থা নেই, মানুষজন বেরোতে ভয় পাচ্ছেন”। কন্ট্রাক্ট ক্যারেজ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি বিনু জনের মতে, শুধুমাত্র গত দু মাসে এক হাজারেরও বেশি ট্যুরিস্ট বাস অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তারা বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে দেনা করতে বাধ্য হয়েছে। বাস মালিকদের এখন সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। কেজি দরে অনেকে বাস বিক্রি করে দিচ্ছেন। করোনা পরিবহন ব্যবসাকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে”।
তিনি আরও জানান, রবিবারের সাপ্তাহিক লকডাউনের ফলে তাদের ব্যবসা আরও মার খাচ্ছে। সরকারের তরফে কর ছাড়ের বদলে কর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যার ফলে আরও বিপাকে পড়েছে টুরিস্ট বাস মালিকরা। তিনি জানিয়েছেন প্রতিটি ট্যুরিস্ট বাসকে সরকারের নির্দেশিকা অনুসারে প্রতি তিনমাসে ৪০ হাজার টাকা করে কর প্রদান করতে হয়। যা এই মন্দার বাজারে জারী রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে পেট্রোল ডিজেলের চড়া দাম। তাঁর কথায়, 'সংগঠনের তরফে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই কর মুকুব করার'।