সংক্রমণ কমার অন্যতম কারণ কি কম টেস্ট? উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক!

যে রাজ্যগুলিকে দ্রুত টেস্ট বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, বিহার, হরিয়ানা, অন্ধ্র প্রদেশ, রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গ।

যে রাজ্যগুলিকে দ্রুত টেস্ট বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, বিহার, হরিয়ানা, অন্ধ্র প্রদেশ, রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দেশে গত কয়েকদিনে পরীক্ষা সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমতে থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব আরতি আহুজা।

কোন কোন ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই, এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা গত সপ্তাহেই জারি করে কেন্দ্র। আর এবার কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হল যাতে করোনা পরীক্ষার হার বাড়ানো হয় দ্রুত। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দেশ জুড়ে পরীক্ষার হার অনেকটাই কমে গিয়েছে।

Advertisment

উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিল কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। চিঠিতে কোভিড পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বেশি করে পরীক্ষা করার কারণই হল যাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। দ্রুত সেটা বাড়াতে হবে। একাধিক রাজ্যে পরীক্ষা কমেছে বলে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই বার্তা দিয়েছে।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব আরতি আহুজা রাজ্যগুলিকে এই মর্মে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে বার্তা দেওয়া হয়েছে, নিয়মমাফিক বাড়াতে হবে টেস্ট। কিছু কিছু অঞ্চল চিহ্নিত করে আরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে উদ্বেগজনক বলে চিহ্নিত করেছে। আর সেই ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে দেশ জুড়ে। চিঠিতে তিনি স্পষ্ট লিখেছেন, ‘আইসিএমআর পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, করোনা পরীক্ষা কমেছে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যাঁদের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি তাঁদের ক্ষেত্রে নমুনা পরীক্ষা  বাড়ানো হলে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, এড়ানো যাবে গুরুতর অসুস্থতা। পাশাপাশি, যে সব অঞ্চলে করোনা সংক্রমণের হার বেশি, সেখানেও পরীক্ষা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। জুনের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে দেশে গত কয়েকদিনে পরীক্ষা সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমতে থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব আরতি আহুজা। তিনি জানিয়েছেন, হটাত করে সারা দেশে করনা আক্রান্তের সংখ্যা হুহু করে হ্রাস পাওয়ার এটাও অন্যতম প্রধাণ কারণ হতে পারে। তাই দ্রুততার সঙ্গে রাজ্যগুলিকে পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সারা দেশে মোট পরীক্ষায় সংখ্যা ছিল ১৬ লক্ষ ৪৯ হাজার। যা যথেষ্ট নয় নয় বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যে রাজ্যগুলিকে দ্রুত টেস্ট বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, বিহার, হরিয়ানা, অন্ধ্র প্রদেশ, রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গ। এই রাজ্যগুলিতে গত কয়েকদিনে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমতে শুরু করেছে। 

Advertisment

দিনকয়েক আগেই নমুনা পরীক্ষা সংক্রান্ত গাইডলাইন আইসিএমআর-এর নির্দেশ মেনেই প্রকাশ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয় সাধারণ ক্ষেত্রে যাঁদের উপসর্গ রয়েছে তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করানো দরকার। উপসর্গ রয়েছে এমন সন্তানসম্ভবা মহিলা, উপসর্গ নেই কিন্তু কোনও পজিটিভ কারও সংস্পর্শে এসেছেন এমন সন্তানসম্ভবা মহিলা, আন্তর্জাতিক সফর করে কেউ ফিরলে, বিদেশ থেকে কেউ বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর থেকে এলে পরীক্ষা করাতে হবে।

কোনও উপসর্গ না থাকলে পরীক্ষা করানোর দরকার নেই। হোম আইসোলেশন গাইডলাইনে রয়েছেন এমন রোগী, ডিসচার্জ পলিসি মেনে যাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছে তাঁদেরও পরীক্ষা করাতে হবে না।

আইসিএমআর-এর গাইডলাইন ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়আইসিএমআর-এর নমুনা পরীক্ষার গাইডলাইন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। মূলত যে অংশটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তা হল অস্ত্রোপচার বা সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা উপসর্গহীন হলে নমুনা পরীক্ষা নিষ্প্রয়োজন। যারা আন্তঃরাজ্য যাতায়াত করছেন, তাদের ক্ষেত্রেও করোনা পরীক্ষা করার কোনও প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করা হয় ওই গাইডলাইনে।

পাশাপাশি কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্য কমাতেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড, অক্সিজেন ও অন্যান্য স্বাস্থ্য পরিষেবা মজুত রাখার কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব।