করোনা মহামারীর দাপটে ছারখার হয়েছিল বিশ্ব। চাকরি হারিয়েছিলেন কোটি কোটি মানুষ। চওড়া হয়েছে বেকারত্ব। চাকরি হারিয়ে বেড়েছে মানসিক অবসাদ। তবে এবার করোনার দাপট কিছুটা কমতেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বেসরকারি সংস্থাগুলি। এমনটাই উঠে এসেছে রিপোর্টে।
রিপোর্ট অনুসারে দেখা গিয়েছে করোনার দাপট কমার সঙ্গে সঙ্গেই কাজের সুযোগ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। রিপোর্ট অনুসারে দেখা গিয়েছে ১০ টি নামি বেসরকারি সংস্থার ৮ টি সংস্থা প্রায় ৩ লাখ বেকারকে চাকরির সুযোগ দিয়েছে। কোম্পানিগুলির মধ্যে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড অন্যতম। ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে প্রায় লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে এই সংস্থায়। নন-সুপারভাইজরি বা এন্ট্রি-লেভেলে চাকরি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। অর্থনীতি পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দেশের তরুণ প্রজন্মকে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এর পর তালিকায় রয়েছে অ্যাভিনিউ সুপারমার্টস। ২০২১-২২ সালে সেখানে মোট ৫হাজার ৪৫ জন নতুন চাকরি পেয়েছেন। ভারতের বৃহত্তম সফ্টওয়্যার কোম্পানি টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS) ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১ লক্ষ ৪ হাজার কর্মচারীকে নিয়োগের রিপোর্ট করেছে। যা আগের বছরের থেকে প্রায় দ্বিগুণ। টিসিএসের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ‘সারা বিশ্বের নিয়োগকর্তাদের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জিং বছর ছিল’। বেসরকারি ব্যাঙ্কিং এবং আর্থিক পরিষেবাগুলিতেও আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে কাজের সুযোগ।
আরও পড়ুন: < গুলি খেয়েও বাঁচিয়েছিল ২ সেনাকে, মরণোত্তর বীরের পুরস্কারে সম্মানিত সেনা কুকুর ‘অ্যাক্সেল’! >
এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, বাজাজ ফাইন্যান্স এবং এইচডিএফসি লিমিটেডের মতো সংস্থাগুলিতে আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরে কাজের সুযোগ বেড়েছে। এফএমসিজি জায়ান্ট হিন্দুস্তান ইউনিলিভার গত তিন বছরে প্রায় ২১ হাজার নতুন চাকরির সুযোগ সামনে এনেছে। কোভিড কালে ধুঁকতে থাকা অ্যাভিয়েশন ও গাড়ি শিল্পেও গতি এসেছে। ভারতের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি ২০২১-২২ সালে মোট ১হাজার ৪ জন কর্মীকে নিয়োগ করেছে। সব মিলিয়ে কোভিডের পর ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি। সেই সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাজের সুযোগ।