আদালতের নিষেধ, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ফুৎকারে উড়িয়ে দীপাবলির রাতে দিল্লির একশ্রেণির মানুষ নিয়মভাঙার খেলায় মেতে উঠেছিলেন। আর তাতেই বিপত্তি। উত্সবের পরদিন, রবিবার সকালেও রাজধানীর বাতাসে বিষের মাত্রা 'গুরুতর' পর্যায়ে ধরা পড়ল। এদিন ভোর থেকেই দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়ায় ঢেকেছে রয়েছে।
#WATCH I Delhi: Smog shrouds parts of the national capital leading to decreased visibility; visuals from Geeta colony pic.twitter.com/MHmmMqX0L7
— ANI (@ANI) November 15, 2020
দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটির তথ্য অনুসারে রবিবার সকালে রাজধানী শহরের আইটিও এবং আনন্দ বিহারে বায়ুমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল যথাক্রমে ৪৬১ ও ৪৭৮। সকালে ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদ, গ্রেটার নয়ডা, গুরুগ্রামের বায়ুমান সূচক ধরা পড়েছে যথাক্রমে ৪৩৮, ৪৮৩, ৪৩৯ ও ৪২৪।
শনিবার রাতের পর থেকে দিল্লিতে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৪১৪। এই এয়ার কোয়ালিটি সিভিয়ার ক্যাটেগরিতে পড়ে। শুক্রবার এই এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৩৩৯। অর্থাত্ একদিনে তা অনেকটাই বেড়েছে।
তবে, দুপুরের পর থেকে দিল্লির বাযু দূষণের হার কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজধানীজুড়ে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বায়ুর গতিপথও বদল হয়ে দক্ষিণ-পূর্বমুখী হতে পারে। আর তাতেই কুছুটা সুরাহা মিলতে পারে বলে আশা।
গত বছর দীপাবলির সময় দিল্লির বায়ুমান সূচক ছিল গড়ে প্রায় ৩৩৭। পরের দু'দিন যা বেড়ে হয়েছিল ৩৬৮ ও ৪০০। এরপরে, দূষণের মাত্রা টানা তিন দিন ধরে "অত্যন্ত গুরুতরপর্যায়ে থেকে গিয়েছিল।
শনিবার রাতের পর দিল্লির সব জায়গাতেই পিএম ২.৫-এর মাত্রা ৪০০-র বেশি ছিল। কোথাও তা ৫০০-র কাছেও পৌঁছে যায়। এই পিএম ২.৫-এর মাত্রা ৬০-এর উপর হয়ে গেলেই তা সাধারণ মানুষের জন্য খারাপ। দিল্লির একাধিক এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের চোখে জ্বালা, গলায় ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদদের কথা অনুযায়ী, শীতকালে এমনিতেই হাওয়া স্থির হয়। তার ফলে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ এমনিতেই বেশি থাকে। তার মধ্যে বাজি পোড়ানোর ফলে দূষণ আরও বেড়েছে। এই দূষণের জেরে করোনায় ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সুপ্রিম কোর্টও বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করেই একাংশের দিল্লিবাসী বাজি পুড়িয়েছেন। আর তারই মাশুল গুণছে রাজধানী।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন