সংক্রমণের শিখরে দেশ। প্রতিদিন লক্ষ-লক্ষ মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন দেশজুড়ে। টিকাকরণই করোনা-জব্দে একমাত্র হাতিয়ার। তবে কারও ইচ্ছের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া হচ্ছে না। টিকাকরণ নিয়ে কাউকে জোর করাও হচ্ছে না। এমনকী টিকাকরণের শংসাপত্রও বাধ্যতামূলক করা হয়নি। টিকাকরণ নিয়ে একটি মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে এমনই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।
রবিবারই করোনার টিকাকরণ অভিযানের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। তবে করোনার টিকা নিতে কাউকেই জোরাজুরি করা হচ্ছে না। ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কাউকেই টিকা দেওয়া হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টে টিকাদান নিয়ে একটি মামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, টিকা নিতে বিনীতভাবে ভারত সরকার এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দ্বারা আবেদন করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া কাউকে জোরপূর্বক টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেই সরকারের। তবে করোনা এড়াতে টিকাকরণই একমাত্র হাতিয়ার বলে জানিয়ে কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, ''চলমান মহামারী পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে করোনার টিকাকরণ বৃহত্তর জনস্বার্থের বিষয়। প্রিন্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যথাযথভাবে পরামর্শ দেওয়া, বিজ্ঞাপন দেওয়া এবং যোগাযোগ করা হয়েছে। সব নাগরিকদের সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে টিকা নেওয়া উচিত। তবে কাউকেই তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে টিকা দিতে বাধ্য করা যাবে না।''
আদালতে কেন্দ্র আরও জানিয়েছে ১১ জানুয়ারি, ২০২২ পর্যন্ত মোট ১৫২ কোটি ৯৫ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬০২ ডোজ দেওয়া হয়েছে। যোগ্য প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৯০.৮৪ শতাংশ তাঁদের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন। প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৬১ শতাংশ টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- দৈনিক সংক্রমণ কমলেও উদ্বেগ কাটছে না, করোনায় মৃত্যুহার নিয়ে নয়া আতঙ্ক
উল্লেখ্য, কয়েকটি রাজ্য নাগরিকদের টিকাকরণ নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়ে দিয়েছে, টিকার দুটি ডোজ নেওয়া না থাকলে লোকাল ট্রেনে ওঠা যাবে না। কেরল সরকারও ঘোষণা করেছে, টিকার দুটি ডোজ নেওয়া না থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির চিকিৎসার খরচ বহন করবে না রাজ্য সরকার। একাধিক রাজ্যের এই নির্দেশিকার জেরেই বিশেষভাবে সক্ষমদের নিয়ে কাজ করা ইলুরু ফাউন্ডেশনের তরফে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়ে। বিশেষভাবে সক্ষম সকলের টিকাকরণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার দাবি জানায় সংস্থাটি।
বিশেষভাবে সক্ষমদের টিকার শংসাপত্র দেখানোর প্রসঙ্গটিও ওঠে। টিকাকরণের শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক নয় বলেই মনে করে সংস্থাটি। সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া আবেদনেও সেই প্রসঙ্গটি জানায় ওই সংস্থা। তারই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারও শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে জানায়, নাগরিকদের টিকার শংসাপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক বলে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।
Read full story in English