অবশেষে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন আসারাম বাপু। স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে দোষী সাব্যস্ত করল যোধপুরের নিম্ন আদালত। ২০১৩ সালে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আসারাম বাপুর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এদিন এই মামলার রায় ঘিরে আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। শুধু যোধপুরের আদালত চত্বরেই নয়, রাজস্থান, গুজরাত, হরিয়ানাতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ওই তিন রাজ্যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আহমেদাবাদে আসারাম বাপুর আশ্রমের বাইরে পুলিশ মোতায়েন। ছবি- জাভেদ রাজা, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
২০১৩ সালে ওই ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে রয়েছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু।
আরও পড়ুন, সুরাতে কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নয়া মোড়
আদালতের রায় প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে আসারাম বাপুর মুখপাত্র নীলম দুবে জানিয়েছেন যে, আইনজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই পরের পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিচারব্যবস্থার উপর তাঁদের আস্থা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
আসারাম বাপুর শাস্তি কড়া হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার বাবা। আদালতের এদিনের রায়ে ‘‘বিচার পেয়েছি’’ বলে মন্তব্য করেছেন কিশোরীর বাবা। অন্যদিকে আসারাম বাপুর সাজা ঘোষণা কবে করা হবে, সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি আদালত।
আরও পড়ুন, আবারও ধর্ষণ! উত্তরপ্রদেশে একদিনে ৪টি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
এদিকে এই ধর্ষণ মামলায় রেহাই পেয়েছেন প্রকাশ ও শিবা ওরফে সাভা রাম হেতবেদিয়া। চার্জশিটে ওই দু’জনের নাম ছিল।