কিশোরী ধর্ষণে অভিযুক্ত আসারাম বাপুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষিত হল। স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনাল যোধপুরের নিম্ন আদালত। অন্যদিকে এ মামলায় অপর দুই দোষী সাব্যস্ত শিল্পী ও শরদ চন্দ্রকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০১৩ সালে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আসারাম বাপুর বিরুদ্ধে। আজই এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় আসারাম বাপু। ইতিমধ্যেই এদিন এই মামলার রায় ঘিরে আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। শুধু যোধপুরের আদালত চত্বরেই নয়, রাজস্থান, গুজরাত, হরিয়ানাতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ওই তিন রাজ্যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
২০১৩ সালে ওই ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে রয়েছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু।
আদালতের রায় প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে আসারাম বাপুর মুখপাত্র নীলম দুবে জানিয়েছিলেন যে, আইনজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই পরের পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিচারব্যবস্থার উপর তাঁদের আস্থা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন, সুরাতে কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নয়া মোড়
আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আসারাম বাপুর শাস্তি কড়া হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। আদালতের এদিনের রায়ের পর সুবিচার মিলেছে বলে জানিয়েছেন নিগৃহীতা কিশোরীর বাবা।
আরও পড়ুন, শিশুধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড, অপরাধ রোধে কতটা কার্যকর?
এদিকে এই ধর্ষণ মামলায় রেহাই পেয়েছেন প্রকাশ ও শিবা ওরফে সাভা রাম হেতবেদিয়া। চার্জশিটে ওই দু’জনের নাম ছিল।