রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি পদে মনোনীত করার আগেই রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করার পালা শুরু হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে কংগ্রেস বিধায়ক দলের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেসের রাজস্থান কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক অজয় মাকেন এবং সিনিয়র কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। সূত্রের খবর দুই সিনিয়ার কংগ্রেস নেতা বিধায়কদের সঙ্গে একটি আলোচনা করবেন এবং নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে তাদের মতামত জানারও চেষ্টা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য শচীন পাইলট এবং সিপি জোশীর নাম নিয়েও ইতিমধ্যেও আলোচনা জোরদার হয়েছে।
২৮ শে সেপ্টেম্বর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেবেন গেহলট। এর আগে, বিধায়ক দলের বৈঠকে এক অন্যমাত্রা পেতে চলেছে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। দলের বিধায়ক ও সিনিয়র নেতাদের মনোনয়নের জন্য দিল্লি পৌঁছতে বলা হয়েছে। কংগ্রেসের বিধায়ক ও মন্ত্রীরা ২৭ সেপ্টেম্বরই দিল্লি পৌঁছাচ্ছেন বলে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট নিজেই এর আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার কথা বলেছেন। গেহলট জানিয়েছেন, কংগ্রেস সভাপতির পদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী সামলানো দুই পদে তাঁর থাকাটা সমীচীন নয়। এমতাবস্থায় এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন গেহলট। সভাপতি পদের মনোনয়ন পেশের পর নাকি নির্বাচনে জেতার পরে গেহলট পদত্যাগ করবেন তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী-বিধায়কেরা তাকে উভয় পদেই থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এর আগে গেহলট সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন যে দলের বিধায়কদের মতামতের ভিত্তিতে হাইকমান্ড নতুন মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সনিয়া গান্ধী এবং রাজ্যের পর্যবেক্ষক অজয় মাকেন এই বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত নেবেন। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপালের টুইট থেকে এটা স্পষ্ট যে মাকেনের সঙ্গে খাড়গে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে বিধায়কদের মতামত জানতেই এদিনের এই বৈঠক ডেকেছেন।
আরও পড়ুন : < সাইবার হানায় ধুঁকছে বিশ্ব! মোকাবিলায় যৌথভাবে কাজ করবে কোয়াড তালিকাভুক্ত দেশগুলি >
রাজ্যে আরও একবার ফিরতে চলেছে ২০১৮ সালের পরিস্থিতি। তারই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেতারা। সেই সময় দলের হাইকমান্ডকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য অশোক গেহলট এবং শচীন পাইলটের মধ্যে থেকে কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে তা বেছে নিতে জয়পুরে তিন দিন ধরে বিধায়কদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছিল। এখন দলের হাইকমান্ডের সামনে শচীন পাইলট ও সিপি জোশীর নাম।
সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন গেহলট। সূত্রের খবর, দুজনেই গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে জাতীয় সভাপতির দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেছেন।